বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দেরিতে হলেও অবশেষে ন্যায় বিচার পেলেন পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) ঝাড়গ্রামের এক মৃত গৃহবধূ। বছর চারেক আগে স্ত্রীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে খুন করেছিল স্বামী। ২০২১ সালের ওই মামলায় অবশেষে অভিযুক্ত স্বামীকে চরম শাস্তি দিল আদালত। অভিযুক্ত স্বামীকে বধূ নির্যাতন ও খুনের ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে শনিবার তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে ঝাড়গ্রাম আদালত। পাশাপাশি জরিমানা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাকে।
রাজ্যের (West Bengal) এই মামলায় মৃত্যুর ৪ বছর পর বিচার পেল স্ত্রী
মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২১ সালে। ওই বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর নয়াগ্রাম থানার গোখুরপাল গ্রামের বাসিন্দা রাজু মাহাতো ওরফে ঝাপু তার স্ত্রী সুরুচি মাহাতোকে প্রথমে ব্যাপক মারধর করেছিল। তারপর তাঁর গলায় নাইলনের দড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ওই ঘটনার পর ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা এলাকায়। ওই দিনই নয়াগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন মৃতার বাবা অভিলাষ মোহন্ত। অভিযোগ মিলতেই নয়াগ্রাম থানার পুলিশ অভিযুক্ত রাজু মাহাতোকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ব্যর্থ নয়! ডিভোর্স হলে কি করা উচিৎ? পরামর্শ দিল সুপ্রিম কোর্ট
ঝাড়গ্রামের গৃহবধূ হত্যার এই ঘটনার এক বছর পর ২০২২ সালের ১১ নভেম্বর চার্জ গঠন করা হয়। সূত্রের খবর এই মামলায় মোট ১২ জনের সাক্ষী গ্রহণ করা হয়েছে। এই খুনের মামলার তদন্তকারী অফিসার ছিলেন নয়াগ্রাম থানার এসআই সমীর কুমার দাস।
দীর্ঘ চার বছর পর, অবশেষে শনিবার এই মামলায় ঝাড়গ্রাম জেলা আদালত অভিযুক্তকে বধূ নির্যাতনের ঘটনায় ২ বছরের কারাদণ্ড এবং ২০০০ টাকা জরিমানা দেওয়ার পাশাপাশি অনাদায়ে তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি খুনের ঘটনায় অভিযুক্তের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণার পাশাপাশি ৫০০০ টাকা জরিমানা সহ অনাদায়ে আরও ছ’মাসের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।