বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর থেকেই প্রতিবাদে সরব কিঞ্জল নন্দ (Kinjal Nanda)। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের অন্যতম ‘মুখ’ এই চিকিৎসক-অভিনেতা। তিনি নিজেও আরজি করের ছাত্র। সেই কিঞ্জলের শ্বশুরের বিরুদ্ধেই যৌন হেনস্থার অভিযোগ! এক দশক পুরনো মামলার কথা সম্প্রতি প্রকাশ্যে এনেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন।
কিঞ্জলের (Kinjal Nanda) শ্বশুরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ নিয়ে সরব ‘অ্যাসোসিয়েশন’!
গত অক্টোবর মাসে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের পাল্টা আত্মপ্রকাশ করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন (West Bengal Junior Doctors Association)। মূলত থ্রেট কালচারে অভিযুক্তরা এই সংগঠন খুলেছেন বলে দাবি অনেকের। এবার তারাই কিঞ্জলের শ্বশুর ডঃ প্রসন্ন কুমার ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে হওয়া এক দশক পুরনো একটি মামলা নিয়ে সরব হল।
ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে কিঞ্জলের (Kinjal Nanda) শ্বশুরের বিরুদ্ধে পুলিশে যৌন হেনস্থার অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। গড়িয়াহাট থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। তার ভিত্তিতে তৎকালীন ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারায় ডঃ প্রসন্ন কুমার ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। ১২৩এ রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ের এনজি মেডিকেয়ারের চিকিৎসাকেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটেছিল। পুলিশি রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হয় বলে খবর। জানা যাচ্ছে, এখনও এক দশক পুরনো ওই মামলার শুনানি চলছে।
আরও পড়ুনঃ ‘কোনও ধর্মে বিশ্বাসী বলে…’! রাম জন্মভূমি রায়ে ঈশ্বরের ‘ভূমিকা’য় বিতর্ক! মুখ খুললেন প্রধান বিচারপতি
ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, যৌন হেনস্থার এই মামলা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন কিঞ্জলের শ্বশুর। ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয়। এমতাবস্থায় প্রতিবাদী চিকিৎসক কিঞ্জলের দিকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের ওই সংগঠন। তাদের কথায়, ‘আরজি কর কাণ্ডের নির্যাতিতা কিংবা নিজের শ্বশুরকে বেছে নিক কিঞ্জল’।
উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডের পর থেকেই ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের আন্দোলন চলছে। কখনও রাজপথে নেমে মিছিল, কখনও আবার আমরণ অনশন করেছে তারা। এই আবহে এবার কিঞ্জলের (Kinjal Nanda) শ্বশুরের বিরুদ্ধে হওয়া এক দশক পুরনো যৌন হেনস্থার মামলার কথা সামনে আনল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।