বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডের পর থেকেই প্রতিবাদে সরব জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। কিঞ্জল নন্দ, দেবাশিস হালদার, আসফাকুল্লা নাইয়ারা (Asfakulla Naiya) এখন অনেকের কাছেই পরিচিত মুখ। এবার জুনিয়র চিকিৎসকদের রিসর্টে ‘ফুর্তি’র ভিডিও ঘিরে তোলপাড় সমাজমাধ্যম! অনেকেই আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবার এই নিয়ে সমাজমাধ্যমেই মুখ খুললেন জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের অন্যতম ‘মুখ’ তথা চিকিৎসক আসফাকুল্লা।
রিসর্টে জুনিয়র ডাক্তারদের ভিডিও ঘিরে তোলপাড়! কী বলছেন আসফাকুল্লা (Asfakulla Naiya)?
বিগত কয়েকদিন ধরেই সমাজমাধ্যমে জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors) রিসর্টের ভিডিও নিয়ে শোরগোল চলছে। অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে ওই ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হয়েছে, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের অন্যতম ‘মুখ’ সোহম-শৌনকরা। ‘দ্রোহের রাত্রিবাস’ করতে গিয়েছিলেন তাঁরা! সেই সঙ্গেই পুলিশ এবং রাজ্য প্রশাসনের কাছে জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের এই প্রতিবাদীদের মুখ এবং মুখোশ খুলে দেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে। সেই পোস্টে আবার ব্যবহার করা হয়েছে আসফাকুল্লার ছবি। এবার এই নিয়ে সরব হলেন এই চিকিৎসক।
এদিন নিজের সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন আসফাকুল্লা (Asfakulla Naiya)। লিখেছেন, ‘এখন যেখানে যে জুনিয়র ডাক্তার যা ভুল করছে, কিছু ব্যক্তি ইউটিউবে অথবা লেখালেখি করে তাদেরকে আন্দোলনের মুখ বানাচ্ছেন আর আমাদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছেন, এখন কেন ডাক্তার নাইরারা চুপ? কী মুশকিল রে বাবা! চুপ নয়, পরীক্ষার জন্য পড়াশোনা করছি। আন্দোলন করতে গিয়ে নিজেরই কলেজের পিজিটি, জুনিয়রদের একে একে চিনছি। অন্য কলেজের ডাক্তারদের আগে থেকে চেনা সম্ভব নয়’।
আরও পড়ুনঃ ‘পুলিশ নিজেকে বাঁচাতে…’! থানা থেকে চুরি আস্ত গাড়ি! মামলা হতেই কড়া নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের (West Bengal Junior Doctors Front) এই প্রতিবাদী চিকিৎসক বলেন, আন্দোলনের কারণে প্রায় ২ মাস রাস্তায় থাকায় বহু অজানা ব্যক্তির সঙ্গে ছবি থাকতেই পারে। এটা আটকানো সম্ভব নয়। একইসঙ্গে পরিষ্কার করে দেন, কোনও অসামাজিক কাজের সঙ্গে তাঁর যোগ নেই। আসফাকুল্লা লেখেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমাকে কোনও অসামাজিক কাজকর্ম করতে দেখলে আপনারা আসুন, কান মলে দিয়ে যান, আপত্তি থাকবে না’।
পোস্টের শেষে আসফাকুল্লা (Asfakulla Naiya) স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘অন্যায়কারীদের সমর্থন করি না, করবও না। আমার কাছে আন্দোলনকারী কোনও ডাক্তারও যদি অন্যায় করে আগে সে অন্যায়কারী, পরে ডাক্তার। সঙ্গে থাকুন, সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলবে। ভেতরে হোক বা বাইরে, ডাক্তার হোক মন্ত্রী’।