মমতার দেওয়া অনুদানে কেনা যাবেনা মূর্তি, দশকর্মার খরচাও নয়, শুধুই ব্যয় করতে হবে এই খাতে

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পুজোর গন্ধ এসেছে। আর কয়েক দিনের অপেক্ষা। তারপরই দেবীর আগমন। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর (Durga Puja) আর মাত্র দু’মাস বাকি। ইতিমধ্যে পুজো কমিটিগুলি জোর কদমে প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে। এরই মাঝে তাদের আনন্দ-উৎসাহ ডবল করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দেওয়া অনুদান (Donation)।

দুর্গা পূজায় (Durga Puja) মমতার দেওয়া অনুদান ব্যয় কেবল এই খাতে

এবার রাজ্যের ৪৩ হাজার দুর্গাপুজো কমিটির জন্য এক লাফে ১৫০০০ টাকা অনুদান বাড়ানোর ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। আগের বার ৭০,০০০ টাকা করে অনুদানের ঘোষণা করা হয়েছিল। আর এবার অনুদান বেড়েছে হয়েছে ৮৫০০০। ২০২৫-এ পুজোর অনুদান ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে বলেও ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

মোটা অনুদানের পাশাপাশি পাশাপাশি ফায়ার লাইসেন্স-সহ সমস্ত সরকারি ফি মকুব সহ বিদ্যুতের দামে ৭৫ শতাংশ ছাড়ের ঘোষণা রাজ্যের তরফে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি ধরছে না পুজো কমিটিগুলির। কিন্তু ওই অর্থ কোন কোন খাতে খরচ যাবে সেই নিয়ে রয়েছে বিস্তর নিয়ম।

রাজ্য সরকার তরফে দুর্গাপুজোর জন্য অনুদান দেওয়া হলেও সে টাকা পুজোর কাজে খরচা করা যায় না। প্রতিমা কেনা হোক, কিংবা পুরোহিত বা দশকর্মার খরচ এসব কোনো খাতেই সেই টাকা ব্যয় করা যায় না। অনুদানের টাকা খরচ করতে হয় সাধারণ মানুষের স্বার্থে কিছু করার জন্য (যেমন ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ প্রকল্পের প্রচার, গরিব মানুষকে বস্ত্রবিতরণ ইত্যাদি)। তবে শুধু খরচ করলেই হবে না, সেই নথিও জমা করতে হবে। তবেই পরের বছরের অনুদান দেওয়া হবে।

mamata banerjee

আরও পড়ুন: ‘কোনো টাকা নেই..,’ জানিয়ে দিল পর্ষদ, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড় ‘ধাক্কা’

আগে এই অনুদান নিয়ে একাধিক মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। এরপর ২০২২ সালে পুজোর (Durga Puja) আগে রাজ্যকে ৬টি শর্ত দিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছিল অনুদানের অর্থ ব্যয় সংক্রান্ত নথি হাই কোর্টে জমা দিতে হবে তিন মাসের মধ্যে। এরপর থেকেই এই অনুদানের খরচ নিয়ে পুজো কমিটিগুলোর উপর নথি জমা দেওয়ার কড়াকড়ি শুরু করে রাজ্য। কোন খাতে কত টাকা খরচ হচ্ছে তার সব দেখাতে হয় বিলে। যদিও উদ্যোক্তাদের দাবি, ‘‘বিল জমা করাটা কোনও সমস্যা নয়।’’

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর