বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দু’পয়সা রোজগারের আশায় বাংলা থেকে কেরলে পাড়ি দিয়েছিল মুর্শিদাবাদের ওশিকুল ইসলাম (৩২)। কিন্তু পায়ে হেঁটে আর বাড়ি ফেরা হল না। বন্ধুদের হাতে খুন হয়ে এখন তাঁর মরদেহ পৌঁছাবে সাগরদিঘিতে। তবে শুধু খুনই না, প্রমাণ লোপাটের জন্য নির্মীয়মাণ বহুতলের বাথরুমে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল অসীকুলের দেহ। বাড়িতে খবর আসতেই, সবাই কান্নায় ভেঙে পড়েছ।
জানা গিয়েছে যে, কেরলের কাহ্নুর জেলায় রাজমিস্ত্রির কাজ করত ওশিকুল। সেখানে তাঁর দুই বন্ধু পরেশ ও গণেশ মণ্ডলের সঙ্গেই থাকত সে। তাঁদের বাসস্থান ছিল নির্মীয়মাণ একটি বহুতল। ওশিকুলের পরিজনেরা জানিয়েছেন যে, গত ২৮ জুন থেকেই নিখোঁজ সে। তাঁকে খুঁজে পেতে স্থানীয় থানাতেও ডায়েরি করা হয়েছিল।
জানা গিয়েছে যে, ওশিকুলকে খুন করার পর তাঁর বন্ধু পরেশ আর গণেশ চুপাচাপি এলাকা ছেড়ে পালায়। ডায়েরির ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। আর সেই তদন্তে নেমেই গত মঙ্গলবার পরেশকে মুম্বাই থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশের জেরায় পরেশ অপরাধ স্বীকার করেছে বলে জানা গিয়েছে। ৩০ হাজার টাকার জন্য বন্ধু ওশিকুলকে খুন করেছে বলে জানিয়েছে সে। আর খুনের পর প্রমাণ লোপাটের জন্য ওশিকুলের দেশ সেই নির্মীয়মাণ বহুতলের বাথরুমে পুঁতে দেয় তাঁরা। পুলিশ ওশিকুলের মরদেহটি উদ্ধার করেছে।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, মরার আগে ব্যাংক থেকে ৩০ হাজার টাকা তুলেছিল ওশিকুল। আর সেই টাকাই হাতানর ধান্দায় ছিল পরেশ ও গণেশ। কাজের শেষে ওশিকুল ঘুমনোর সময় দুই বন্ধু মিলে পরিকল্পনামাফিক তাঁর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে। সজোরে আঘাতে সেখানেই প্রাণ হারায় ওশিকুল। এরপর তাঁর দেহ বাথরুমে পুঁতে দেয় তাঁরা। তবে, পরেশকে ধরা গেলেও গণেশ এখনও পলাতক। তাঁর উদ্দেশ্যে খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।