বাংলাহান্ট ডেস্ক : সোমবার পুরসভা ভোটকে কেন্দ্র করে রীতিমতো ধুন্ধুমার কান্ড বেঁধেছিল রাজ্যে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে জমেছে অভিযোগের পাহাড়। সন্ত্রাস, ছাপ্পা, বুথ দখল, বোমাবাজি ইত্যাদি সব রকমের অভিযোগেই সরব হয়েছে বিরোধীরা। দফায় দফায় চলেছে বিক্ষোভ। কিন্তু অতঃপর রাজ্যের ১০৭ টি পুরসভার ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হতে চলেছে আজই। বুধবারই রাজ্যে হতে চলেছে পুরভোট গণনা এদিন সকাল ৭ টা থেকেই শুরু হয়ে গেছে ভোট গণনার কাজ।
রাজ্যে ১০৮ টি পুরসভায় ভোট হলেও এদিন গণনা করা হবে ১০৭ টি পুরসভার ভোটই। দিনহাটা পুরসভায় সবকটি ওয়ার্ডে প্রার্থীই দিতে পারেনি বিজেপি। ফলে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দিনহাটা আগেই দখল করেছে তৃণমূল। সেখানের ১৬ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩টিরই দখল ঘাসফুল শিবিরের হাতে।
ইতিমধ্যেই জয় আসতে চলেছে তৃণমূলের দখলে। মাথাভাঙা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে ৮৯৬ ভোটে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ রায়। একই সঙ্গে মাথাভাঙার ১ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ সাহা। ১৬০০ ভোটে জয়ী তিনি।
সবকটি পুরসভাতেই প্রায় ভোটের সময় চলে চূড়ান্ত অরাজকতা। কোথাও ছাপ্পা ভোট, কোথাও বিরোধী প্রার্থীকে ঢুকতে না দেওয়া, মারধর, বিরোধীদের মেরে রক্তাক্ত করে দেওয়া এহেন সব গুরুতর অভিযোগের তীরে বিদ্ধ শাসকদল। তবে পুরভোট গণনার সুরক্ষা নিশ্চিদ্র করতে তৎপর হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কড়া পদক্ষেপ কমিশনের। ভোট গণনা কেন্দ্রের ২০০ মিটার এলাকার মধ্যে বন্ধ থাকবে সমস্ত দোকান বাজার। জারি থাকবে ১৪৪ ধারাও।
রাজ্যের পুরসভার ভাগ্যগণনা আজ। কিন্তু যেভাবে বুথে বুথে ভুয়ো ভোটার দিয়ে ছাপ্পা ভোট চালিয়েছে তৃণমূল তাতে যে ফলাফলের পাল্লা ঘাসফুলের দিকেই ভারি থাকবে তা বলাই বাহুল্য। ইতিমধ্যেই চারটি পুরসভায় এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতকালই পুরভোটে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন খোদ তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর অভিযোগ এই সন্ত্রাসের ঘটনাগুলির ফলে ভুল বার্তা গেছে মানুষের কাছে। তৃণমূলকে মানুষ কাজের জন্য এমনিই ভোট দিত। এই সন্ত্রাসকে অপ্রয়োজনীয় বলেও দাবি করেন তিনি। সন্ত্রাসের প্রতিবাদে সোমবার রাজ্যে বনধও ডাকে বিজেপি। আজ সারা রাজ্যেরই নজরে থাকবে পুরযুদ্ধের ফলাফল। তবে এহেন পুরভোটের পর রাজ্যে ‘সবুজ ঝড়’ যে অবসম্ভাবীই তা আর নতুন করে বলে দেওয়ার অপেক্ষা থাকে না বোধহয়।