বাংলাহান্ট ডেস্ক : এবার পুরভোটে অশান্তি প্রসঙ্গে মুখ খুললেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে ভোট এমনিতে শান্তিপূর্ণ হলেও বিক্ষিপ্ত ঝামেলা হয়েছে কয়েকটি জায়গায়। আর তাঁর এহেন মন্তব্যকে ঘিরেই শোরগোল রাজ্য রাজনীতিতে।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের ১০৮ টি পুরসভায় নির্বাচনকে ঘিরে তুলকালাম বাঁধে বুথে বুথে। মারধর করা হয় সাংবাদিক থেকে শুরু করে প্রার্থী সকলকেই।বাদ জাননি তৃণমূল কর্মী সমর্থকরাও। গোষ্ঠি দ্বন্দ্বের অভিযোগ ওঠে একাধিক জায়গায়। রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোট এবং বুথ দখলের অভিযোগ আনে বিরোধী দলগুলি। বলাই বাহুল্য বাকি সব গুলি অভিযোগের তীরও ছিল শাসক দলের বিরুদ্ধে। কিন্তু এদিন অন্য কথা শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রীর গলায়।
এদিন মমতা বলেন, ‘এমনিতে ভোট শান্তিপূর্ণই হয়েছে। আমিও চাই ভোট শান্তিপূর্ণ হোক। সবাই নিজের নিজের ভোট দিক। কে পাঁচটা বেশি ভোটে জিতল কে দশটা বেশি ভোটে জিতল সেটা বড় কথা নয়।’ একই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘মাত্র কয়েকটা জায়গাতেই অশান্তি হয়েছে। কাঁথি, ভাটপাড়া ব্যারাকপুর আর বহরমপুর এই জায়গাগুলিতেই অশান্তি হয়ছে। আমাদের পার্টি সেই দায় কেন নেবে? যাদের কিছু নেই, তারা ঝামেলা করে গন্ডগোল করে।’
যদিও মমতার এই বক্তব্যকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহল। তাঁদের মতে এই তিনটি এলাকার উল্লেখ করে রাজ্যের ৩ বিরোধী নেতাকেই বোঝাতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারী, ব্যারাকপুর ভাটপাড়া এলাকায় অর্জুন সিং এবং বহরমপুরে অধীর রঞ্জন চৌধুরীকেই দোষী সাব্যস্ত করতে চেয়েছেন মমতা।
মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যকে অবশ্য সহ্য করেনি বিজেপি। তাদের দাবি, চোখে ঠুলি পরে বসে থাকেন দিদি। তৃণমূলের লোকেরাই তৃণমূলের অন্য লোকেদের হাতে মার খেয়েছে, পাড়ায় পাড়ায় ভোট লুঠ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী স্পর্ধা দিয়েছেন বলেই এইসমস্ত ঘটেছে এই অভিযোগই তুলেছে গেরুয়া শিবির। তবে কংগ্রেসের তরফে অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।