বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এদিনও কোনো সিদ্ধান্তে আসা গেল না। ওবিসি সার্টিফিকেট (OBC Certificate) মামলায় ফের সময় চাইল পশ্চিমবঙ্গ সরকার (West Bengal Government)। গতকাল মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) বাংলার OBC- মামলার শুনানি ছিল। আগেই জবাব তলব করেছিল SC. গতকালের শুনানিতে এই মামলায় জবাব দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের হয়ে আরও কিছুটা সময় চাইলেন রাজ্য সরকারের আইনজীবী কপিল সিব্বল (Kapil Sibal)।
OBC মামলায় (OBC Certificate) কী জানাল সুপ্রিম কোর্ট?
দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে মামলাটির শুনানি ছিল। রাজ্যের আইনজীবি সিব্বলের আর্জিতে সায় দিয়েছে আদালত। গতকাল শুনানি চলাকালীন আদালতে সিব্বল বলেন, এই মামলায় প্রচুর মামলাকারী রয়েছে। অন্য পক্ষ এই নিয়ে একগুচ্ছ নথিও জমা দিয়েছে। তাই জবাব দেওয়ার জন্য রাজ্যের আরও কিছুটা সময় প্রয়োজন।
- পরবর্তী শুনানি কবে?
এই যুক্তি শুনে রাজ্য সরকারের আবেদন মঞ্জুর করেছে সর্বোচ্চ আদালত। আগামী সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। সেই দিন রাজ্যকে জবাব দিতে হবে সুপ্রিম কোর্টে। প্রসঙ্গত, গত মে মাসে ২০১০ সালের পর থেকে অন্যান্য অনগ্রসর সম্প্রদায় ভুক্তদের দেওয়া সব শংসাপত্র বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ক্ষমতায় আসার পর থেকে ৭৭টি পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়কে ওবিসির তালিকাভুক্ত করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এদিকে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে এক ধাক্কায় ৫ লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র বাতিল হয়ে যায়।
উচ্চ আদালতের সেই রায়ের বিরোধীতা করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। এর আগে গত ৫ অগাস্ট এই মামলার শুনানিতেই রাজ্যকে নোটিস জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। সেই সময় ওবিসি তালিকাভুক্ত ৭৭টি সম্প্রদায়ের বিষয়ে রাজ্যের থেকে হলফনামা তলব করে শীর্ষ আদালত। কীসের ভিত্তিতে ৭৭টি সম্প্রদায়কে রাজ্য ওবিসি করেছিল তা সাত দিনের মধ্যে জানতে চেয়েছিল আদালত। ওবিসি তালিকাভুক্ত ওই ৭৭টি সম্প্রদায় নিয়ে কী ধরনের সমীক্ষা করা হয়েছিল?
আরও পড়ুন: ‘বুধবারই..,’ কলকাতা হাইকোর্টে বিরাট মামলা রাজ্যের, একটু পরই শুনানিতে এসপার-ওসপার
এই বিষয়ে বিস্তারে জানানোর পাশাপাশি রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত কমিশনের সঙ্গে এই নিয়ে রাজ্যের কোনও আলোচনা হয়েছিল কি না, তাও লিখিত আকারে হলফনামায় জানাতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি হাই কোর্টের রায়ের উপর এখনও পর্যন্ত কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।