‘কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই হবে ভোট! জেলা পিছু কত জন জওয়ান চাইল কমিশন? প্রকাশ্যে এল রিপোর্ট

বাংলা হান্ট ডেস্ক : ধোপে টেকেনি রাজ্যের আপত্তি। হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রত্যেক জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) জন্য। সুপ্রিম কোর্টও (Supre Court) কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকেই বহাল রাখে। এরপর থেকেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (State Election Commission) অফিসে ব্যস্ততা দেখা যায়। কত কেন্দ্রীয় বাহিনী নেওয়া হবে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

সূত্র মারফত খবর, প্রতিটি জেলার জন্য ২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইতে পারে কমিশন। তবে শেষ পর্যন্ত, তা আরও কমল। প্রতিটি জেলার জন্য ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হল কমিশনের তরফে। জেলাপিছু ১ কোম্পানি সিএপিএফ চাওয়া হয়েছে এবং সেই মর্মে রিকুইজিশনও পাঠানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

এক কোম্পানি সিএপিএফ-এর অর্থ ৯০ জন জওয়ান। সেক্ষেত্রে গ্রাউন্ড ডিউটি করতে যাবেন ৭৫ জন। এই সংখ্যক জওয়ান দিয়ে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় প্রতিটি বুথে কেন্দ্রের আধা সামরিক বাহিনী কীভাবে মোতায়েন করা যাবে, তার উত্তর নেই কারোর কাছেই।

central force

রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কি না, তা নিয়ে অনেক দিন ধরেই সমস্যা চলছিল। পঞ্চায়েতের বিজ্ঞপ্তি ঘোষণার সময়েই সাংবাদিক বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার রাজ্য পুলিসে উপর ভরসার কথা শুনিয়েছিলেন। কিন্তু বিরোধী দলগুলি শুরু থেকেই দাবি করে আসছিল, পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী লাগবেই।

পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কি না, তা নিয়ে মামলা গড়ায় আদালতেও। প্রথমে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল স্পর্শকাতর জেলাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য। কিন্তু কমিশন তখন বলে, তারা স্পর্শকাতর জেলা বলে কিছু চিহ্নিতই করেনি।

এই বিষয় নিয়েই আবার পুনর্বিবেচনার আর্জি নিয়ে হাইকোর্টে যায় কমিশন। তখন আদালত জানিয়ে দেয়, সব জেলাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের। এরপর সেই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও যায় কমিশন। কমিশনের আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, কোন বুথ স্পর্শকাতর, সেটি দেখা কমিশনের কাজ, কোন জেলা স্পর্শকাতর, সেটা কমিশনের এক্তিয়ার নয়।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর