বাংলাহান্ট ডেস্ক : তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bnerjee) তাঁর বিরুদ্ধে মামলা নিতে চাইছে না পুলিসই। এমন অভিযোগ জানিয়ে এবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টের দারস্থ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বিজেপির নবান্ন অভিযানে (Nabanna Rally of BJP) পুলিসের সহনশীলতার প্রশংসা করে অভিষেকের একটি মন্তব্য করেন। সেই মন্তব্যকে ঘিরেই অভিযোগ সুকান্তর।
বিজেপির নবান্ন অভিযানে আহত হন এক পুলিস কর্তা। তাঁকে দেখতে এসএসকেএমে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে পুলিসের ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি। এদিন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বলেন, ‘ওঁরা অনেক সহ্যশক্তি দেখিয়েছেন, আমি থাকলে এখানে কপালে হাত ঠেকিয়ে গুলি করতাম।’ সেই ঘটনার প্রায় ১৫ দিন পর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ওই মন্তব্যের বিরোধিতা করে অভিযোগ জানাতে আদালতে গেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে অভিষেকের ওই গুলি মন্তব্য নিয়ে মামলা করেছেন সুকান্তবাবু। তবে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিজেপি রাজনীতিতে পেরে না উঠে এর আগেও কোর্ট কাছারি, ইডি, সিবিআইয়ের দ্বারস্থ হয়েছে। এখনও তারা তা-ই করছে।’
গত ১৪ সেপ্টেম্বর ওই মন্তব্য করেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় অভিষেকের ভিডিয়োটি টুইটারে দিয়ে তাঁর সমালোচনা করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, সুকান্ত ব্যাঙ্কশাল আদালতে মামলা করেছেন অভিষেকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার অনুমতি চেয়ে। অভিষেকের ‘গুলি করা’ মন্তব্যের জন্যই তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করতে চান সুকান্ত। জোড়া ফুল শিবিরের পাল্টা দাবি, এর আগেও অভিষেককে ইডির ভয় দেখাতে চেয়েছে বিজেপি। এখনও সেই রাজনীতিই চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
তৃণমূল সাংসদ শান্তনু বলেন, ‘বিজেপির হাতে কিছুই নেই। তাই তারা কখনও মৃত্যু কখনও বা মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করে। নবান্ন অভিযানের নামে কলকাতার রাস্তায় নেমে পুলিশকে মারধর করে। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করে। পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। সাঁতরাগাছিতে তারা ইট-পাথরও ছুড়েছিল পুলিসকে লক্ষ্য করে। তাতে অনেক পুলিসকর্মী আহত হন। এর পরও রাজ্যের পুলিস বিজেপিকর্মীদের উপর কোনও রকম কড়া পদক্ষেপ করেনি। যথেষ্ট সহনশীলতা দেখিয়েছে। অভিষেক সে কথা বলতে গিয়েই একটি তুলনা টানেন। বিজেপি সেই মন্তব্যকেই বিকৃত করার চেষ্টা করে তা নিয়ে রাজনীতি করছে।’