শান্তনু ঠাকুরকে ‘তুলে নিয়ে যেতে চাওয়ার’ অভিযোগ! কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ল পুলিস

বাংলা হান্ট ডেস্ক : ধুন্দুমার ঠাকুরবাড়ি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে (Shantanu Thakur) ‘ধরে নিয়ে যাওয়া’র চেষ্টা? ‘গায়েও হাত দিল’! বনগাঁয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গেও ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ল রাজ্য পুলিস। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চূড়ান্ত উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল চাঁদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে।

এদিন মতুয়াদের বিক্ষোভের মধ্যেই এদিন ঠাকুরবাড়িতে হাজির হন অভিষেক। মূল মন্দিরে নয়, এদিন পাশের একটি মন্দিরে পুজো দেন তিনি। এরপর বড়মা-র ঘরে গিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন তাঁর প্রতিকৃতিতে। কেন এই বিক্ষোভ? এরপরই বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনুকে ঠাকুরকে নিশানা করেন অভিষেক।

চুপ করে থাকেননি শান্তনুও। তাঁর অভিযোগ, ‘সমস্ত কিছু মানুষ রেকর্ড করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় রেকর্ড হয়েছে। ১ হাজার, ২ হাজার, ৫ হাজার পুলিস পাঠিয়ে, তাঁদের সঙ্গে মন্দিরে গুন্ডামি করেছে ও’। সঙ্গে হুঁশিয়ারি, ‘তোমাকে সাজা পেতে হবে। হরি, গুরুচাঁদ ঠাকুর তোমাকে সাজা দেবে’।

shantanu thakur bjp 1

এরই মধ্যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, সন্ধ্যায় আহত বিজেপি কর্মীদের চাঁদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে, তাঁদের বেধড়ক মারধর করেন তৃণমূল কর্মীরা। কেন? খবর পেয়ে শান্তনু ঠাকুর নিজে হাসপাতালে পৌঁছন। এরপর কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে রীতিমতো ধস্তিধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে রাজ্য পুলিস।

শান্তনু ঠাকুর অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ‘পুলিস দালালি করে আমাদের লোকদের তুলে নিয়ে চলে গেল। তৃণমূলের লোকরা আমাদেরকে মারল, তাদের কোনও কিছু না করে, আমাদের লোকদের তুলে নিয়ে চলে গেল। আমার গায়েও হাত দিল! আমাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছিল! বাঁচাতে গিয়ে তো আটকে পড়েছে। লোকাল থানার ওসি বলাই ঘোষ এদের আশ্রয় দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে রাজনীতি, সংস্কৃতি, গণতন্ত্র যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো সব শেষ।’

এদিকে তৃণমূলের অভিযোগ, জোর করে ঠাকুরনগরের মন্দিরের ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। ভেঙে ফেলা হয় অভিষেকের কর্মসূচি উপলক্ষ্যে তৈরি হওয়া তোরণ। ভিতরে যাঁরা ছিলেন তাঁদের বলপূর্বক বের করে দেওয়া হয় বলেও খবর। ভিতরে তখন মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। বাইরে তুমুল বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মীদের। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী তাঁদের বের করে দিয়েছে।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর