বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিক সময়ে বাংলায় একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসার পাশাপাশি সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত মামলায় উত্তপ্ত রাজনীতি। শাসক এবং বিরোধী, দুই পক্ষের বহু নেতা মন্ত্রীদের নাম জড়িয়েছে এ মামলায়। সম্প্রতি, সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত ইস্যুতে শুভেন্দু অধিকারী, মহম্মদ সেলিম, অধীর চৌধুরীর পাশাপাশি অন্যান্য একাধিক বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) একটি মামলা দায়ের করা হয়। যদিও বর্তমানে এ মামলায় সম্পূর্ণ সহযোগিতা করা হবে বলেই জানিয়ে দিলেন সকল নেতা মন্ত্রীরা। তবে এক্ষেত্রে নিরপেক্ষ কোনো সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করার আর্জি জানিয়েছেন সকলে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ বহু সময় ধরে কলকাতা হাইকোর্টে তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতা মন্ত্রীদের সম্পত্তি বৃদ্ধি প্রসঙ্গে মামলা ঝুলে রয়েছে। এক্ষেত্রে অস্বাভাবিক হারে সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিষয়ে মোট ১৯ জন তৃণমূল নেতা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। সম্প্রতি, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দ্বারা এ মামলায় ইডিকে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হলে সেটি নজরে আসে সকলের। যদিও পরবর্তীতে ফিরহাদ হাকিম ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সহ অন্যান্য নেতারা হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে পুনর্বিবেচনার আর্জিও জানান। আর এর মাঝে বিরোধী দলের নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধেও একই মামলা দায়ের করাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় বিতর্ক।
গত ১৮ ই আগস্ট মোট ১৭ জন নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়; যেখানে শুভেন্দু অধিকারী, মহম্মদ সেলিম, আব্দুল মান্নান, শিশির অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায়, দিলীপ ঘোষ এবং অধীর চৌধুরীর মত হেভিওয়েটদের নাম উঠে আসায় বিস্তর বিতর্কের সৃষ্টি হয়। যদিও বিরোধীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে, দুর্নীতি এবং অন্যান্য একাধিক মামলা থেকে নজর ঘোরাতেই শাসকদলের তরফ থেকে এই চক্রান্ত করা হয়েছে।
এর মাঝে এদিন তদন্তে সম্পূর্ণরূপে সহযোগিতা করার কথা ঘোষণা করলেন বিরোধীদের আইনজীবীরা। একইসঙ্গে তাদের আর্জি, এই মামলার তদন্ত যেন কোনো নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে করানো হয়। এক্ষেত্রে আইনজীবীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, কোনো নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত না করানো হলে এক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্ব হতে পারে। তাই যদি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা হয়, তবে তাদের মক্কেলরা সম্পূর্ণরূপে সহযোগিতা করবে। তবে এই মামলায় অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের রায় কি হয়, বর্তমানে সেদিকে তাকিয়ে সকলে।