মুখ্যমন্ত্রীর এলাকায় ঘরছাড়া বিজেপি পরিবার, অভিযোগ নেওয়ার বদলে পুলিশ বলল আমরা অপারক

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে ফলাফল ঘোষণার পর হওয়া হিংসা (Bengal Violence) শুধু মানুষের মাথার ছাদই ছিনিয়ে নেয়নি, তাঁদের ভয়ে ভয়ে বাঁচতেও বাধ্য করেছে। তবে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে মানবাধিকার কমিশনকে বাংলার হিংসার তদন্ত থেকে হটানোর রাজ্য সরকারের আর্জি খারিজ হওয়ার পর নিগৃহীতদের মধ্যে কিছুটা হলেও ন্যায় পাওয়ার প্রতি বিশ্বাস জেগেছে।

এরকমই কিছু ঘটনা শোনালেন খাস কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এলাকা ভবানীপুরের বাসিন্দা মামনি সাহা এবং ওনার স্বামী রবি সাহা। তাঁরা জানান, ২ মে তৃণমূল তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরে আসার পর সর্বপ্রথম তাঁদের পোলট্রি শপ ভেঙে ফেলা হয়। এরপর তাঁরা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যান, আর এখনও তাঁরা বাড়িতে ফিরে আসতে পারেন নি। দম্পতি জানায়, তিন বছর আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ফল ভুগতে হচ্ছে তাঁদের।

দম্পতি জানায়, ‘এক বছর আগে তৃণমূলের লোকেরা যখন জানতে পারে যে আমরা বিজেপি করি, তখন থেকেই আমাদের হুমকি দেওয়া শুরু হয়।” এই ঘটনার পর রবি বাড়ি ছাড়েন আর মামনি সেখানেই থাকতেন। রবি সাহা জানান, ‘আমি বাড়ি ফিরতে পারছি না। আমি যখন অভিযোগ জানাতে ভবানীপুর থানায় যাই, তখন আমাকে পুলিশকর্মীরা জানান ‘আমাদের হাত-পা বাঁধা।”

মামনি জানান, আমি আমার বাড়িতেই থাকতাম। মার্চ মাসে দোলের সময় আমাকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। নির্যাতিতা জানান, তৃণমূলের কর্মীরা আমার থেকে বিনামূল্যে ১০ কেজি চিকেন চেয়েছিল আর আমি মানা করে দিয়েছিলাম। মামনি বলেন, ‘ওঁরা তখন থেকে আমাকে চোখ রাঙিয়ে যাচ্ছে। এরপর ২ মে ফলাফল ঘোষণা হতে আমার দোকানে ভাঙচুর চালায় আর দোকানের সামনে বেড়া দিয়ে দেয়। আমিও এখন ঘরছাড়া। তৃণমূল কর্মীদের অত্যাচারে আমি এখন টালিগঞ্জে থাকি।”

X