বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে সরিয়ে নয়া প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হয়েছেন শুভঙ্কর সরকার। শনিবার বিবৃতি প্রকাশ করে একথা ঘোষণা করেছে হাত শিবির (Congress)। রবিবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে প্রথমবার বিধানভবনে পা রাখলেন তিনি। স্লোগান, ফুল, করমর্দনে স্বাগত জানানো হল শুভঙ্করকে।
নতুন পদে আসীন হয়ে কী বার্তা দিলেন কংগ্রেস (Congress) নেতা?
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর এদিন রাজ্য কংগ্রেস অফিসে বক্তৃতা দেন শুভঙ্কর (Subhankar Sarkar)। তিনি বলেন, ‘মল্লিকার্জুন খাড়্গে, সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, রাজ্যের ইনচার্জ, বেণুগোপাল জি- এনারা সবাই সিদ্ধান্ত নিয়ে দায়িত্ব দিয়েছে। জননেতা রাহুল গান্ধী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটা গুরুত্ব সহকারে এবং রাজ্যে জনতার আশা আকাঙ্খা পূরণ করব। রাজ্যে কংগ্রেসকে শক্তিশালী করা ও সংগঠন তৈরি করা কাজ’।
শুভঙ্কর বলেন, রাজনৈতিক দলের বাইরে নাগরিক সমাজ যেভাবে আন্দোলন সংগঠিত হয়েছে সেটাকে গুরুত্ব দিয়ে, বন্যা পরিস্থিতি এবং আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ সব কিছুকে সামনে রেখে ব্লকে ব্লকে কংগ্রেস (Congress) সজাগ আছে ও থাকবে। দুর্গাপুজোর পর থেকে প্রত্যেকদিন কংগ্রেস নেতৃত্ব রাজ্য কংগ্রেস অফিসে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুনঃ অনুব্রত ফিরছেন জেনেও মনে ভয় নেই ‘সেই’ শিবঠাকুরের, পাল্টা যা বললেন…শোরগোল
হাত শিবিরের নয়া প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘তৃণমূল এবং বাম ইন্ডিয়া জোটের শরিক। একটি দলের সঙ্গে আসন সমঝোতা হয়েছে, আরেকটি দলের সঙ্গে হয়নি। দলের রাজ্যের চালক হিসেবে এই মুহূর্তে কংগ্রেসের সংগঠন শক্তিশালী করাই প্রধান লক্ষ্য’। শুভঙ্কর এদিন জানিয়ে দেন, তিনি একা কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) সহ দলের আরও অনেকের সঙ্গে আলোচনা করেই তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন।
শুভঙ্কর এদিন আরও বলেন, সকল কংগ্রেস (Congress) নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ কংগ্রেসকে চায়। এখানকার মানুষের মনে মান অভিমান রয়েছে। প্রত্যাশা রয়েছে। রাজ্যে এক ধরণের বাইনারি রয়েছে। প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী, প্রদীপ ভট্টাচার্য আমায় নিজেদের অভিজ্ঞতা দিয়ে গাইড করবেন। দলকে আগামী দিনে মজবুত করার চেষ্টা করব। এটাই বড় ব্যাপার’।