বাংলা হান্ট ডেস্ক: ২০২১ সালের ২ আগস্ট রাজ্যে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে টেলি-মেডিসিন পরিষেবা চালু করা হয়। প্রত্যন্ত অঞ্চলেও সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিতে শুরু হয় এই পরিষেবা। ইতিমধ্যেই সমগ্র রাজ্য জুড়ে ৪০৪১ টি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চলছে এই পরিষেবা। পাশাপাশি, ৭০০ জনেরও বেশি চিকিৎসককে যুক্ত করা হয়েছে এই প্রকল্পে।
এছাড়াও, “স্বাস্থ্য ইঙ্গিত” নামের সেই প্রকল্পে সম্প্রতি যুক্ত করা হয়েছে স্ট্রোকে আক্রান্তের চিকিৎসাও। এবার, কেন্দ্রীয় সরকার আয়োজিত এক সমীক্ষায় সেই টেলি-মেডিসিন পরিষেবাতেই সমগ্র দেশে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে পশ্চিমবঙ্গ। তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা গিয়েছে, গত এক বছরে মোট ৩৪ লক্ষ ৯১ হাজার ৯৪২ জন ওই পরিষেবার সুবিধা পেয়েছেন।
মূলত, করোনা মহামারীর শুরুর দিকে অধিকাংশ চিকিৎসকই ব্যক্তিগত চেম্বার বন্ধ করে দেওয়ায় ক্রমাগত চাপ বাড়ছিল হাসপাতালে। পাশাপাশি, সেই সময় পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল সংক্রমণের হারও। এমতাবস্থায়, টেলি-মেডিসিনের মাধ্যমে ঘরে বসেই বহু রোগী সঠিক চিকিৎসা পেয়েছিলেন। পূর্বের সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েই রাজ্যে টেলি-মেডিসিন পরিষেবা শুরু করার পরিকল্পনা করা হয়। আর তাতেই মেলে অভূতপূর্ব সাফল্য।
এই প্রসঙ্গে গত শনিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন যে, “প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষেরাও যাতে সঠিক এবং সুষ্ঠুভাবে চিকিৎসা পরিষেবা পেতে পারেন, সেই লক্ষ্যেই টেলি-মেডিসিন পরিষেবা চালু করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই তাতে বহু মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। এমতাবস্থায় এই স্বীকৃতি আমাদের কাছে অনেক বড় প্রাপ্তি। আগামী দিনে আরও বেশি মানুষের কাছে টেলি-মেডিসিন পরিষেবা পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে এই সম্মান।”
প্রধানত প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরিষেবা পৌঁছে দিতে টেলি-মেডিসিন ব্যবস্থাই একমাত্র পথ। রক্তচাপ, ডায়াবিটিস, ক্যানসার থেকে শুরু করে বিভিন্ন নন-কমিউনিকেবল (সংক্রামক নয় এমন রোগ) রোগের চিকিৎসাও টেলি-মেডিসিন ব্যবস্থায় পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।