পার্থ-কাকু-মানিক! তিন জন মিলে কী করেছিল? নিয়োগ দুর্নীতিতে ED-র হাতে হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সোমবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের জামিন মামলায় বিস্ফোরক তথ্য কলকাতা হাই কোর্টে সেই তথ্য তুলে ধরল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED)। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তৃণমূল বিধায়ক মানিকের যোগাযোগ নিয়ে বড় তথ্য ফাঁস করল সেন্ট্রাল এজেন্সি।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে বিস্ফোরক ইডি (Recruitment Scam)

এদিন হাইকোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের এজলাসে এই মামলা শুনানির জন্য উঠলে ইডির দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুরও খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। দুজনার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট এবং ফোন কলের মাধ্যমে এই প্রমাণ মিলেছে বলে আদালতে দাবি ইডির।

মানিক ভট্টাচার্যের জামিনের বিরোধীতা করে ইডির দাবি সুজয় ও মানিকের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরও সরাসরি (West Bengal Recruitment Scam) আর্থিক দুর্নীতির হদিস মিলেছে। তদন্তে আরও একাধিক তথ্য উঠে এসেছে বলে আদালতে দাবি ইডির। এই অবস্থায় তৃণমূল নেতা মানিক ভট্টাচার্যকে জামিন না দেওয়ার পক্ষে জোর সওয়াল করেন ইডির আইনজীবী।

ইডির আইনজীবী বলেন, “পার্থ-মানিক-সুজয় এই তিনজন দুর্নীতির একই সুতোয় গাঁথা। এই ধরনের আর্থিক অপরাধ কিংবা দুর্নীতি সমাজের বিভিন্ন স্তরে গভীর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।” পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডল, গৌতম কুণ্ডুর আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলারও উল্লেখ করে ইডির আইনজীবী বলেন ওই আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ও মানিক ভট্টাচার্যের মধ্যেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে।

এদিন মানিকের জামিনের বিরোধীতা করে বেশ কিছু নথিও আদালতের কাছে জমা দেয় ইডি। পাশাপাশি ইডির আইনজীবী বলেন, মানিকের ছোট ভাই নিজেই তার দাদার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। মানিক যে দুর্নীতির (Recruitment Scam) সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তার ইঙ্গিত ওনার ভাইয়ের বক্তব্য থেকেই মিলেছে।

Calcutta High Court

আরও পড়ুন: জামিন পেলেন অনুব্রত মণ্ডল, গরু পাচার মামলায় সুপ্রিম কোর্টে মুক্তি কেষ্টর

ইডির যুক্তি শুনেই ভার্চুয়াল শুনানিতে কান্নায় ভেঙে পড়েন মানিক ভট্টাচার্য। কাঁদতে কাঁদতে মানিক বলেন, ‘‘ও আমার ছোট ভাই। আমার সন্তানের মতো। গ্রেফতারির সময় পরিস্থিতি অন্য রকম ছিল। সেই সময় ও সিবিআইকে কী বলেছে, সেসব জামিনের ক্ষেত্রে বিবেচ্য হওয়া উচিত নয়।”

প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি বলেন, ‘‘আমার ভাই এই মামলায় জড়িত নয়। এ ক্ষেত্রে ওর বক্তব্যের কোনও যৌক্তিকতা থাকতে পারে না।’’ দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারপতি কোনো মন্তব্য করেননি। আগামী সপ্তাহে ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর