বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গের স্কুল নিয়োগ (SSC)দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে এবার দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল কলকাতার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি তে নিয়োগের কেলেঙ্কারি মামলায় মধ্যস্থতাকারী প্রসন্নকুমার রায় এবং তার প্রধান এজেন্ট চন্দন মন্ডল যথাক্রমে ২৮ নভেম্বর এবং ২৬ নভেম্বর তারিখে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
SSC মামলায় ইডির জালে ২
পশ্চিমবঙ্গের সরকারি স্কুলে গ্রুপ ‘সি’ এবং গ্রুপ ‘ডি’ পদে বেআইনিভাবে অযোগ্যদের নিয়োগের জন্য ভারতীয় দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৮৮-এর বিভিন্ন ধারায় সিবিআইয়ের দায়ের করা দুটি এফআইআরের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছিল ইডি। তালিকাভুক্ত নিম্নমানের প্রার্থী এবং যোগ্য প্রকৃত প্রার্থীদের বঞ্চিত করা এবং ন্যায্যতা বজায় না রেখে আইন অমান্য করে একে অপরের সাথে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ ওঠে দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে।
তাদের দুজনকেই কলকাতার মাননীয় বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়। আদালত আগামী ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইডি হেফাজত মঞ্জুর করেছে। এই নিয়োগ দুর্নীতি (SSC) মামলায় অযোগ্যদের নিয়োগের জন্য পশ্চিমবঙ্গের সরকারি স্কুলের গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি পদে বেআইনিভাবে নিয়োগের বিষয়ে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৬০ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৮৮-এর বিভিন্ন ধারায় সিবিআইয়ের দায়ের করা দুটি এফআইআরের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে ইডি।
আরও পড়ুন: জাঁকিয়ে শীত নাকি ফের বৃষ্টি! আজ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে কেমন থাকবে আবহাওয়া?
তালিকাভুক্ত ও নিম্নমানের প্রার্থী এবং যোগ্য ও প্রকৃত প্রার্থীদের বঞ্চিত করা এবং ন্যায্যতা বজায় না রেখে আইন লঙ্ঘন করে একে অপরের সাথে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। এখানেই শেষ নয়, সিবিআই-এর চার্জশিট দেখে জানা যাচ্ছে ডব্লিউবিসিএসসির আধিকারিকরা অন্যদের সাথে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে মোট ৩,৪৩২ জন (১১২৫ টি গ্রুপ ‘সি’ ২৩০৭ গ্রুপ ‘ডি’) প্রার্থীকে গ্রুপ ‘সি’ এবং ‘ডি’ পদের জন্য বেআইনিভাবে নিয়োগ করেছিলেন।
ইতিপূর্বে পিএওর মাধ্যমে প্রসন্নকুমার রায়, তাঁর পরিবারের সদস্য এবং তাঁর সংস্থা মেসার্স দুর্গা ডিলকম প্রাইভেট লিমিটেডের ১৬৩.২০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি (জমি পার্সেল, হোটেল এবং ফ্ল্যাট ) অস্থায়ীভাবে বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। এছাড়া তাঁর পরিবারের সদস্য এবং অন্যদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত সংস্থা/এলএলপিগুলির হাতে থাকা ২৩০.৬০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত এই মামলায় মোট ৩৯৩.৮০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।