বাংলাহান্ট ডেস্ক : কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ্য ভাতার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন বাংলার (West Bengal) রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। এমনকি কর্মচারীদের ডিএ মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। তবে এই আবহেই রাজ্যের অর্থ দপ্তর সুখবর আনল পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য।
পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য নয়া আপডেট
এবার থেকে সপরিবারে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ট্রেনে যাত্রা করার ভাড়া পাবেন পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) সরকারি কর্মীরা। অর্থ দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, যাদের মূল বেতন ৫০ হাজার টাকার নিচে, তাদের দেওয়া হবে এসি থ্রি টিয়ারের ভাড়া। ৫০ হাজার বা তার বেশি মূল বেতনের কর্মচারীরা পাবেন এসি টু টিয়ারের ভাড়া।
শুধু চেয়ারকার রয়েছে এমন ট্রেনের (Train) ক্ষেত্রে দেওয়া হবে বাতানুকুল শ্রেণির ভাড়া। এখানেই শেষ নয়, যাদের বেতন ৪০ হাজার বা তার বেশি তারা এলটিসি নিয়ে জাহাজে আন্দামান বা লক্ষাদ্বীপ গেলে পাবেন প্রথম বা এ শ্রেণির কেবিনের ভাড়া। দ্বিতীয় বা বি শ্রেণির কেবিনের ভাড়া পাবেন ৪০ হাজারের কম বেতনের কর্মীরা।
আরোও পড়ুন : বড্ড বেশি খরচের হাত! শ্রীলঙ্কায় গিয়ে যা যা শপিং করেছিলেন নীতা…..পুরো ‘প্যাকড আপ’ একটা প্লেন
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী (State Government Employees) ফেডারেশনের পক্ষ থেকে LTC সংক্রান্ত নয়া নিয়মকে স্বাগত জানানো হয়েছে। LTC সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি নিয়ে এতদিন বিভ্রান্তি ছিল কর্মীদের মনে। তবে নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এবার থেকে সব কর্মচারীই পেতে চলেছেন বাতানুকূল কামরার ভাড়া। নিয়ম অনুযায়ী, ৫ বছর অন্তর সরকারি কর্মীদের সপরিবারে ভ্রমণ ভাতা দিয়ে থাকে সরকার।
রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের আহ্বায়ক প্রতাপ নায়েক জানান, ‘আমাদের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরে দাবি করা হচ্ছিল যেন রাজ্যের সমস্ত সরকারি কর্মচারীরা বন্দে ভারত-সহ সমস্ত এক্সপ্রেস ট্রেনে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কামরায় ভ্রমণ করতে পারেন। এই দাবি শেষপর্যন্ত পূরণ হওয়ায় উপকৃত হবেন রাজ্যের প্রতিটি সরকারি কর্মচারী। এর জন্য আমরা আমাদের মানবিক ও কর্মচারীদরদী মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’