বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গরমের চোটে নাজেহাল দশা। এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দফতর। গরমের ছুটি (Summer Vacation) মিটিয়ে প্রায় দেড় মাসের লম্বা বিরতির পর গত ৩ জুন খুলেছে রাজ্যের (West Bengal) স্কুল-কলেজ। পঠন-পাঠন শুরু হয়েছে ১০ জুন। তবে স্কুল খুললেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। গরমে পড়ুয়াদের অস্থির অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে স্কুলের টাইম এগিয়ে আনার পথেও হাটল শিক্ষা দফতর।
আবহাওয়ার পরিস্থিতি বিবেচনা করে পশ্চিমবঙ্গের এবার সরকারি এবং সরকার-পোষিত স্কুলের সময়সূচি হেরফের করার অনুমতি দিল রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দফতর। জানা গিয়েছে, যে এলাকায় যে স্কুল অবস্থিত, সেখানকার আবহাওয়ার পরিস্থিতির ভিত্তিতে জুনের বাকি দিনগুলিতে ক্লাসের সময়সূচিতে বদল আনা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে রাজ্যের মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে অ্যাডভাইজরি পাঠিয়েছে স্কুলশিক্ষা দফতর।
দক্ষিণবঙ্গে তীব্র তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি দেখে মনে করা হচ্ছিল ফের একবার গরমের ছুটি দেওয়া হতে পারে। তবে তেমনটা হচ্ছে না। স্কুলে গরমের ছুটি বাড়ছে না। তবে স্থানীয় স্তরে স্কুলের সময়সূচি পালটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুলশিক্ষা দফতর। প্রসঙ্গত তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি বিচার করে মর্নিং স্কুল করানোর মতো দাবি জানিছিলেন শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে শুরু করে অভিভাবকরা। সেইমতো মর্নিং স্কুলের অনুমতি দিয়েছে স্কুলশিক্ষা দফতর।
আরও পড়ুন: এক ধাক্কায় ২ লক্ষ টাকা বাড়ানো হল অবসরকালীন ভাতা, মমতার ঘোষণায় খুশির হাওয়া রাজ্যে
প্রসঙ্গত, দক্ষিণবঙ্গে তীব্র তাপপ্রবাহের জেরে গত ২২ এপ্রিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে আগাম গরমের ছুটি ঘোষণা করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government of West Bengal)। মাঝে গরম কমলেও ভোটের কারণে স্কুল খোলা যায়নি। ভোটের পালা মিটতে ১০ জুন থেকে ফের শুরু হয়েছে পঠন-পাঠন।
তবে এরই মাঝে ফের রাজ্যের বহু জেলায় শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। দক্ষিণবঙ্গে হুড়মুড়িয়ে বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা। এর মধ্যে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের মত জেলাগুলিতে বেহাল দশা। কোথাও কোথাও ৪৪ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে তাপমাত্রা। রিয়েল টাইম ফিল ৫০-র বেশি। তাপপ্রবাহের জেরে বাঁকুড়ায় পড়ুয়াদের অসুস্থতার খবরও উঠে আসে। এই আবহে পঠন-পাঠন চালু রেখে মর্নিং স্কুলের অনুমতি দিল শিক্ষা দফতর।