অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস! অ্যাকাউন্টে ট্যাবের টাকা ঢুকতেই বেজায় খুশি পড়ুয়ারা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কয়েকদিন ধরেই রাজ্য সরকারের ‘তরুণের স্বপ্ন প্রকল্প’র ট্যাবের (Tab Scam) টাকা নিয়ে দুর্নীতি অভিযোগ উঠছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। ট্যাব কেলেঙ্কারিতে ইতিমধ্যেই চোপড়া যোগের অভিযোগ উঠেছে। রাজ্যের পড়ুয়াদের ট্যাবের (Tab Scam) নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। অভিযোগ কানে আসতেই এই দ্রুত তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ট্যাবের (Tab Scam) টাকা ঢুকল পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে

ট্যাবের (Tab Scam) টাকা চুরির ঘটনায় যার পর নাই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তারপরেই তড়িঘড়ি তদন্ত নামে প্রশাসন। এবার অ্যাকাউন্ট থেকে  গায়েব হয়ে যাওয়া পড়ুয়াদের ওই সমস্ত ট্যাবের টাকা পুনরায় তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠালো রাজ্য সরকার।

এরইমধ্যে হরিপালের একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক দাবি করেছেন গায়েব হওয়া টাকা দ্রুত তদন্ত করে উদ্ধার করুক প্রশাসন। হরিপাল গুরুদয়াল ইনস্টিটিউশন সূত্রে খবর, মোট ৬ জন ছাত্র ছাত্রীর ট্যাবের টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছিল। যদিও প্রশাসনের তৎপরতায় একজন ছাত্রের টাকা তৎক্ষনাত ফেরত পাওয়া গিয়েছিল।

আরও পড়ুন: পরিচয় গোপন করে কর্ণাটকের জামাকাপড় কারখানায় কারা? ব্যাগে টান দিতেই ফাঁস আসল সত্যি

কিন্তু বাকি পাঁচজনের টাকা ফেরত না আসায় স্কুলের পক্ষ থেকে তড়িঘড়ি জানানো হয় শিক্ষা দফতর,থানা ও সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে।তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ধুপগুড়ি,কৃষ্ণগঞ্জ ও কলকাতার কাঁকুড়গাছি এবং গড়িয়াহাট এলাকার মোট দুটি রাষ্ট্র ব্যাংকের শাখার পাঁচটি ভিন্ন একাউন্টে টাকা জমা পড়েছে।

Tab Scam

তবে স্কুল সূত্রে খবর এখনও পর্যন্ত ওই গায়েব হয়ে যাওয়া ট্যাবের টাকা উদ্ধার করা না গেলেও আবার ওই পাঁচ ছাত্র-ছাত্রছাত্রীদের অ্যাকাউন্টে ট্যাব কেনার টাকা জমা করেছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার ওই পাঁচ ছাত্র ছাত্রীর অ্যাকাউন্টে মাথা পিছু ১০ হাজার টাকা করে জমা হয়েছে। হরিপালের ওই স্কুলেরই এক পড়ুয়া সৌভিক কর এপ্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আমরা স্কুলে গিয়ে স্যরকে বললাম যে স্যর টাকা ঢোকেনি। উনি সঙ্গে-সঙ্গে ব্যবস্থা নিলেন। থানাতেও অভিযোগ জানিয়েছেন। এখন আমরা আমাদের ট্যাবের টাকা পেয়েছি।’

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর