বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ছাত্র জীবনের অন্যতম বড় পরীক্ষা হল মাধ্যমিক পরীক্ষা। নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ গড়ার কাজে এই পরীক্ষার ভূমিকা ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ। যদিও বিগত কয়েক বছরে এই মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইস্যু হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal)। তাই ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে এই পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারেন তার জন্য এবার ‘মেন ভেন্যু’ বা প্রধান পরীক্ষাকেন্দ্রেও একজন ‘ভেন্যু সুপারভাইজ়ার’ রাখার দাবি তুললেন শিক্ষকদের একাংশ।
পশিমবঙ্গের (West Bengal) মাধ্যমিক পরিচালনায় পর্ষদের নির্দেশ ঘিরে বিরাট ক্ষোভ
পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষাকেন্দ্রে কোনো সমস্যা হলে একজন সেক্রেটারির পক্ষে তা সামাল দেওয়া মুশকিল হতে পারে। এই সমস্যার সমাধান করতেই এমন দাবি করেছেন শিক্ষকরা। নতুন বছরেই মাধ্যমিক পরীক্ষার ব্যবস্থাপনা নিয়ে শিক্ষকদের পাশাপাশি সরকারি আধিকারিকদের জন্যও নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সেখানে বলা হয়েছে প্রধান পরীক্ষাকেন্দ্রে যিনি সেন্টার সেক্রেটারি থাকবেন তাঁকেই ওই কেন্দ্রের সুপারভাইজারের কাজ করতে হবে। কিন্তু প্রধান শিক্ষকদের মতে, প্রধান পরীক্ষাকেন্দ্রে একজন সেন্টার সেক্রেটারির একার উপর বেশি চাপ দিলে পরীক্ষাকেন্দ্র পরিচালনায় সমস্যা তৈরি হতে পারে।
রাজ্যের (West Bengal) মাধ্যমিক পরীক্ষায় একটা প্রধান পরীক্ষা কেন্দ্রের অধীনেই থাকে আরও একাধিক পরীক্ষাকেন্দ্র। এক্ষেত্রে প্রধান পরীক্ষাকেন্দ্রকে মেন ভেন্যু আর তার অধীনে থাকা পরীক্ষাকেন্দ্র গুলিকে বলা হয় সাব ভেন্যু। সেই ভেন্যু দেখভাল করার দায়িত্বে থাকেন একজন ‘ভেন্যু সুপারভাইজ়ার’। এই দায়িত্ব থাকে মূলত স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের ওপরই। প্রধান পরীক্ষা কেন্দ্রে যিনি সেন্টার সেক্রেটারির দায়িত্বে থাকেন তিনিও স্কুলের প্রধান শিক্ষক বা সহকারী প্রধান শিক্ষক হয়ে থাকেন।
আরও পড়ুন: মমতার নির্দেশ ডোন্ট কেয়ার! বাংলার আবাসেও কাটমানি নিচ্ছে তৃণমূল নেতা! ভিডিও ঘিরে তোলপাড়
নিয়ম অনুযায়ী থানা থেকে প্রশ্নপত্র প্রথমে আসে প্রধান পরীক্ষাকেন্দ্রে। তারপর সেখান থেকেই ওই প্রশ্নপত্র পাঠানো হয় ওই পরীক্ষাকেন্দ্রের অধীনে থাকা সাব ভেন্যু গুলিতে। প্রধান পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে প্রশ্নপত্র সঠিকভাবে যাতে সমস্ত সাব ভেন্যুগুলিতে পৌঁছে যায় এবং উত্তরপত্র আবার ঠিকঠাক ফিরে আসে তা দেখভাল করার দায়িত্বে থাকেন সেন্টার সেক্রেটারি। দরকারে একজন সেন্টার সেক্রেটারিকে তাঁর অধীনে থাকা পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে ছুটেও যেতে হতে পারে। সেখানে গিয়ে সংশ্লিষ্ট ‘ভেন্যু সুপারভাইজ়ারের’ সঙ্গে কথা বলে তবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়। একসাথে একাধিক পরীক্ষাকেন্দ্রে সমস্যা তৈরী হলে একজন সেন্টার সেক্রেটারির একার পক্ষে তা সামাল দেওয়া মুশকিলের হতে পারে।
এপ্রসঙ্গে ‘কলেজিয়াম অব অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস’-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস জানিয়েছেন, ‘প্রধান পরীক্ষাকেন্দ্রের ‘সেন্টার সেক্রেটারি’কে দরকারে অন্য পরীক্ষাকেন্দ্রে ছুটে যেতে হয়। একাধিক পরীক্ষাকেন্দ্রে একসাথে গোলমাল হলে তিনি মুশকিল পড়বেন। তাই ওঁর সহযোগী হিসেবে প্রধান পরীক্ষাকেন্দ্রেও একজন ‘ভেন্যু সুপারভাইজ়ার’ রাখার দাবি জানিয়েছি।’