বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কিছু সময়ে ভুয়ো কাস্ট সার্টিফিকেট (Fake Caste certificate case) নিয়ে চাকরির একাধিক অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। যা নিয়ে নড়েচড়ে বসেছিল রাজ্য। এবার মালদহের বিভিন্ন স্কুলে কর্মরত ১৯ জন প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকার (Teachers) তফসিলি জাতি এবং জনজাতির শংসাপত্রই ভুয়ো বলে অভিযোগে রীতিমতো শোরগোল।
ভুয়ো কাস্ট সার্টিফিকেটে শিক্ষকের চাকরি! Teachers
ভুয়ো কাস্ট সার্টিফিকেট ইস্যুতে দুই মহকুমাশাসকের (মালদহ সদর ও চাঁচল) পাশাপাশি, স্কুলশিক্ষা দফতর ও অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরের সচিবের কাছে অভিযোগ করেছেন জেলার মানিকচকের দক্ষিণ চণ্ডীপুরের ফেকু চৌধুরী নামের এক বাসিন্দা। যদিও নিজেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ মানতে নারাজ ওই শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মহকুমাশাসকের (চাঁচল) তরফে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের কাছে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাস্ট সার্টিফিকেট চাওয়া হয়েছে। জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ তরফেও সংশ্লিষ্ট চক্রের (সার্কল) অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকদের কাছে ওই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সার্টিফিকেটের নথি চাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
অভিযোগ, যে ১৯ জনের নাম সামনে আসছে তাদের মধ্যে ১৮ জন শিক্ষক এবং এক জন শিক্ষিকা। অভিযোগকারীর দাবি, ‘‘ওই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে ১২ জন মহকুমাশাসক (সদর) ও বাকি সাত জন মহকুমাশাসকের (চাঁচল) কাছ থেকে এই ভুয়ো সার্টিফিকেট পেয়েছে।” তার আরও এ বিষয়ে তথ্য জানার অধিকার আইনে RTI একাধিক বার করার পরও প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো সদুত্তর মেলেনি।
আরও পড়ুন: ‘বল করলে আমিও ব্যাটিং শুরু করব’! অক্সফোর্ডে উঠতে পারে আরজি কর প্রসঙ্গ! ‘রেডি’ মমতা
আরও পড়ুন: ইফতারের রাজনীতি বন্ধ করুন, আমিও তো একাদশীর উপবাস করি, কাউকে বলতে যাইনি: দিলীপ ঘোষ
প্রসঙ্গত, এই কিছুদিন আগে ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র ব্যবহার করে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের ঘটনায় হৈচৈ পড়ে গিয়েছিল রাজ্যে। সেই নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। এবার ভুয়ো কাস্ট সার্টিফিকেট দিয়ে শিক্ষকতার ক্ষেত্রেও চাকরির অভিযোগ। যা নিয়ে নতুন করে শোরগোল তৈরী হয়েছে।