কোচিং সেন্টার দখল করে তৃণমূলের পার্টি অফিসে! পড়াশোনার কী হবে! প্রশ্ন স্থানীয়দের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : খাস কলকাতা থেকে শুরু করে শহরতলী, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে জেরবার শাসকদল। এবার আগরপাড়ার উসুমপুরে অবস্থিত একটি কোচিং সেন্টারের দখলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল এলাকা। দুই কাউন্সিলরের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে বলে জানান স্থানীয়রা।

জানা গিয়েছে যে, পানিহাটি পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর হিমাংশু দেবের ঘনিষ্ঠ যুবনেতা দেবাশিস লোধ দলবল নিয়ে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের একটি কোচিং সেন্টার দখল করতে যান। এরপরেই অভিযোগ ওঠে, তৃণমূলের কর্মীরা সেন্টার থেকে সকলকে বের করে তালা ঝুলিয়ে দেন। এমনকি গেটের সামনে লাগিয়ে দেওয়া হয় আইএনটিটিইউসির পতাকাও। দখলদারিতে বাধা দিতে গেলে মারধরও করা হয় বৃদ্ধ ব্যবসায়ীকেও।

মুহূর্তের মধ্যেই এই ঘটনার খবর যায় ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শ্যামলী দেব রায়ের কাছে। তিনি তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছন। শ্যামলী দেব রায় পুলিশকে সঙ্গে নিয়েই তৃণমূলের দলীয় পতাকা খুলে ঘর দখলমুক্ত করেন এবং পুনরায় কোচিং সেন্টার ফিরিয়ে দেন। এদিকে যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই দেবাশিস লোধ ঘটনার পর থেকে এলাকা ছাড়া।

বিষয়টিকে কেন্দ্র করে ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিমাংশু দেবের বক্তব্য, “ওখানে কোনও কোচিং বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলে বলে আমার জানা নেই। ওখানে বহু আগে একটা ঘর ছিল। সন্মথনাথ ঘোষ এটা করেছিলেন। আমরা তখন কংগ্রস পার্টি অফিস করায় জনতা পার্টি অফিস করে। পরবর্তীকে একজন ব্যবসায়ী ওই অফিসের নিচে একটা জুতোর দোকান খোলেন। উপরেও একটা ঘর নেন। পাশে একটা ফাঁকা ঘর রয়েছে, এটুকুই আমি জানি।” তিনি আরও বলেন, পার্টি অফিস দখল নয়। কিছু হকার ছেলে গিয়েছিল। ওদের বসার জায়গা নেই। এমনকি তারা রিক্রিয়েশন ক্লাব করবে বলেও তিনি শুনেছেন বলেই জানান। এদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর শ্যামলী দেব রায় জানান, তিনি তাঁর ওয়ার্ডে কোনওরকম অন্যায়কে প্রশ্রয় দেবেন না। পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

IMG 20220607 WA0001

কোচিং সেন্টারে তান্ডব চালানোর পরেই কোচিং সেন্টারের শিক্ষক শম্ভুনাথ ঘোষ বলেন, “উপরের তলায় আমার কোচিং সেন্টার। নিচে রঞ্জিতদার দোকান। উনি ছুটতে ছুটতে আমার কাছে এসে বলছেন, ‘দেবাশিস লোধ তালা ভেঙে আমাকে ধাক্কাধাক্কি করেছে। আমাকে ফেলে দিয়ে তৃণমূলের ঝান্ডা আইএনটিটিইউসির লাগিয়ে এটা পার্টি অফিস বলে চলে গেল’।” ওই শিক্ষকের স্ত্রীর কথায়, ১০-১৫ বছর ধরে তাঁর স্বামী এখানে পড়ান। এমন ঘটনা ঘটবে ভাবতেও পারেননি।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর