উদয়ন বিশ্বাস,দমদম: গতকাল রাত উত্তপ্ত হয়ে উঠল নাগেরবাজার। বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও দমদম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্য ও সিপিএম নেতা পল্টু দাস একটি গেস্ট হাউসে গোপন বৈঠক করছে বলে দাবি করেন দক্ষিণ দমদম তৃণমূল কাউন্সিলর অমিত পোদ্দার এবং মুহুর্তের মধ্যে তিনি তার দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। মা মাটি মানুষ স্লোগান দিতে দিতে প্রথমে মুকুল রায়ের গাড়ি, তারপর শমীক ভট্টাচার্যের গাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং মুকুল রায়ের সাথে এক সহকর্মী আসেন তার ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। মুহুর্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। যে গেস্ট হাউসে গোপন বৈঠক হচ্ছিল বলে কথা হয় সেখানেই ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। দমদম থানার আইসি ঘটনাস্থলে আসেন এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। দমদম থানার আইসি নেতৃত্ব চিরুনি তল্লাশি করে এবং মুকুল রায় এর কাছ থেকে একটি জিনিস পাওয়া যায়নি।
রাত ১০ঃ৩০থেকে প্রায় দু’ঘণ্টা কার্যত নাগেরবাজার স্তব্ধ হয়ে যায়। এই ব্যাপারে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন আমাদের কেউ জড়িত ছিল না, মুকুল রায় টাকা দিয়ে সিপিএমের ভোট কেনার চেষ্টা করছিল কিন্তু ছবিতে দেখা যায় তৃণমূল কাউন্সিলর অমিত পোদ্দারের নিজে এবং তার দলবল রয়েছে। অমিত পোদ্দার একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি কোন উত্তর দিতে চাননি।
শমীক ভট্টাচার্য বলেন বাংলায় কোন গণতন্ত্র নেই একটা নিমন্ত্রণ বাড়িতে সৌজন্যতার জন্য এসেছিলাম, এখানে কোন রাজনৈতিক আলোচনা করতে নয়। তৃণমূল কংগ্রেসের পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে বলে আজ তৃণমূল হিংসাত্মক ভূমিকা গ্রহণ করেছে।
মুকুল রায় কে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন সমস্ত বিষয়টা আমি নির্বাচন কমিশনকে জানাবো এবং আমি নির্বাচন টা ভালো বুঝি, আমি জানি ভোট প্রচার এর সময়সীমা শেষ হয়ে গেলে আর প্রচার করা যায় না, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা যে ঘটনা ঘটল তা সারা ভারতবর্ষে আর কোথাও এরাম হয় বলে আমার জানা নেই, পুলিশ আমাদের সাহায্য না করলে আরো বড় চেহারা। এরপর একে একে শমীক ভট্টাচার্য, মুকুল রায় এবং পল্টু দাস নিজ নিজ বাসস্থানে চলে যান কিন্তু প্রশ্ন উঠছে সত্যি কি মুকুল রায় কোন গোপন বৈঠক করছিল? যে বাড়িতে গিয়েছিলেন সেখানে রাজু সরকার বলেন আমি একজন বামপন্থী ঘরের ছেলে, পল্টুদা আমার নিজের কাকু এবং মুকুল রায়ের সাথে আমি দীর্ঘদিন রয়েছি অর্থাৎ আমি এখন বিজেপি কিন্তু আমার বউয়ের জন্মদিন ছিল। একটা অনুষ্ঠান বাড়ির ঘটনা কে তৃণমূল রাজনৈতিক ভাবে রং দেওয়ার চেষ্টা করল। এখানে কোন গোপন আঁতাত হচ্ছিল না,এখানে শুধুমাত্র নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল এবং তৃণমূলের অনেকে এখানে নিমন্ত্রত ছিল। এখন দেখার বিষয় ভোটের দুদিন আগে নাগেরবাজার দমদম উত্তপ্ত হয়ে উঠল। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর গত লোকসভায় ১২কোম্পানির কেন্দ্র বাহিনী ছিল, সেখানে এবার তিন গুণ বাড়িয়ে ৪৮কম্পানি কেন্দ্র বাহিনী করা হয়েছে এবং নাকা চেকিংয়ের সাথে সাথে হোটেলে তল্লাশি করা হয়ছে। এই ঘটনা ১২জন কে আটক করা হয়েছে।
নিমন্ত্রণ বাড়িতে এসে তৃনমূল কাউন্সিল হাতে আক্রমণ মুকুল,শমীকের গাড়ি, গনতন্ত্র ধর্ষত দাবী মুকুলের
সম্পর্কিত খবর