প্রতি বছর গরম পড়তেই মানুষ বৃষ্টির জন্য হাঁসফাঁস শুরু করে। এবছরও সেই ধারা বজায় রেখে প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যে গত সপ্তাহের শেষের দিকে মরসুমের প্রথম কালবৈশাখী সহ বৃষ্টির ফলে পরম স্বস্তি অনুভব করে সকল বঙ্গবাসী। এই সপ্তাহের শুরু থেকেই দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু প্রান্তে ঝড় বৃষ্টির সাক্ষী থেকেছে মানুষ আর এর মাঝেই এবার বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বাংলায় প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টির সর্তকতা জারি করল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
আন্দামান সাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জল্পনা বেশ কিছুদিন ধরেই ঘুরছিলো। এর পরেই এদিন আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হলো যে, দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে চলেছে এবং সেটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের মতে, এটি ক্রমশ উত্তর-পশ্চিমে অগ্রসর হতে থাকবে। আগামী 7 ই মে গভীর নিম্ন চাপে পরিণত হওয়ার পর এটি 8 তারিখ অর্থাৎ রবিবার শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। বর্তমানে এটির অভিমুখ উড়িষ্যা উপকূলের দিকে রয়েছে। এটি আগামী 10 ই মে অন্ধ্র উড়িষ্যা উপকূলে হাজির হবে এবং এর প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে প্রচন্ড গতিতে ঝড় এবং মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত ঘটবে বলে জানিয়েছে তারা।
হাওয়া অফিসের সর্তকতা অনুযায়ী, গতকাল বিকেল হতেই দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। বেশ কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রাও নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই বিরাজ করছে। তবে এর মাঝেই এদিন তারা জানালো যে, আগামী দুদিন ঝড় বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই। তবে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আগামী 10 থেকে 13 ই মের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা তথা বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বর্ধমান, দুই পরগনা এবং বীরভূমের বিভিন্ন প্রান্তে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই সময় এই সকল অঞ্চলে 50 থেকে 60 কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। ফলে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করেছে তারা।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী কিছুদিন তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণেই থাকবে। আর পরের সপ্তাহে শুরু হবে ঝোড়ো হাওয়া সহ ভারী বৃষ্টির দাপট।