বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বৃষ্টির মরসুম শেষে বিগত বেশ কয়েক দিন ধরে শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করে চলেছে গোটা বাংলায়। উত্তরের (North Bengal) পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গেও পারদ পতনের কারণে শীত অনুভূত হচ্ছে একাধিক জায়গায়। আগামী দিনে শীতের স্পেল দীর্ঘায়িত হবে বলেই পূর্বাভাস আবহাওয়া অফিসের।
আবহাওয়ার খবর
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা : ৩০.৬° সেলসিয়াস
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা : ১৮.৮° সেলসিয়াস
আর্দ্রতা : ৬৮%
বাতাস : ১৫ কিমি/ঘন্টা
মেঘে ঢাকা : ৩০%
আজকের আবহাওয়া
আবহাওয়া অফিস আগেই জানিয়েছিল, নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে শীত খানিকটা অংশে বৃদ্ধি পাবে বঙ্গে। সেই মতো বর্তমানে পারদের পতন ঘটেছে বাংলার একাধিক জেলায়। ভোর এবং রাতের দিকে তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ার শীত অনুভূত হয়ে চলেছে। গতকাল রাতে তাপমাত্রা একধাক্কায় ২ ডিগ্রি নেমে গিয়েছে। গতকাল কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.৮° সেলসিয়াস। আগামী সপ্তাহে বাংলা আরো বেশ খানিকটা শীতের ছোঁয়া পেতে চলেছে বলেই পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের। এক্ষেত্রে শহর কলকাতার পাশাপাশি বাংলার একাধিক জেলায় শীতল আবহাওয়া বজায় থাকবে। অপরদিকে, পশ্চিমের জেলা গুলি তথা বীরভূম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুরের মত জেলাগুলিতে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩১ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আদ্রতার পরিমাণ ৬৮%।
উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গের আবহাওয়া
শহর কলকাতার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা তথা হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া, বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মত জেলাগুলিতে ইতিমধ্যে ভোর এবং রাতের দিকে আবহাওয়ায় শীতল ভাব অনুভূত হয়ে চলেছে। পরবর্তী চার থেকে পাঁচ দিন একই আবহাওয়া বজায় থাকবে। পশ্চিমের জেলাগুলি এবং বিহার ও ঝাড়খণ্ড লাগোয়া জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি হারে কমতে পারে বলে সম্ভাবনা জাহির করা হয়েছে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বর্ধমান ও ঝাড়গ্রামের মতো জেলাগুলিতে শীতের স্পেল শুরু হতে পারে বলে পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের।
অপরদিকে, উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় ইতিমধ্যেই শীত অনুভব করে চলেছে সেখানকার মানুষজন। যদিও দার্জিলিংয়ে কয়েকদিন ধরে বৃষ্টিপাত হয়ে চলেছে। তবে আগামী সময় বৃষ্টিকে দূরে সরিয়ে জাঁকিয়ে শীত আসতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আগামীকালের আবহাওয়া
আগামী চার থেকে পাঁচ দিন শীতল আবহাওয়া বিরাজ করতে চলেছে গোটা বাংলায়। ভোর এবং রাতের দিকে পারদে পতন এবং বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খানিকটা বাড়বে তাপমাত্রা। বাতাসে জলীয় বাষ্প কম থাকার কারণে শীত আরও বেশি মাত্রায় অনুভূত হবে। বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। আর কয়েক দিনের ব্যবধানে শীত পুরোপুরিভাবে জাঁকিয়ে পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।