বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময় সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) ব্যবহার করেন না এমন মানুষ রীতিমতো খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। কারণ যতদিন এগোচ্ছে ততই পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে নেটিজেনদের সংখ্যা। পাশাপাশি বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতারণার ঘটনাও। যার ফলে নিজের অজান্তেই বড় বিপদের সম্মুখীন হচ্ছেন অনেকে। সেই রেশ বজায় রেখে এবার আমাদেরই রাজ্য (West Bengal) থেকে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার প্রসঙ্গ সামনে এসেছে। যেটি জানার পর রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যাবে সকলের।
এমনিতেই ফেসবুক থেকে শুরু করে অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে অপরিচিত ব্যক্তিদের সাথে চ্যাট করার সময় সতর্ক থাকার ব্যাপারে বারংবার সচেতন করা হয়। এমতাবস্থায়, সম্প্রতি লালবাজার সাইবার থানায় সম্প্রতি একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। যেখানে জানানো হয় দেশের এক বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের অল্পবয়সী ছাত্রীর ভেক ধরে প্রতারণা করছে এক যুবক।
জানা গিয়েছে, গত বছর অভিযোগকারীর সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ হয় ওই নকল “ছাত্রীর”। এমতাবস্থায়, বেশ কিছুদিন কথাবার্তা চলার পর গত নভেম্বর মাসে ল্যাপটপ এবং বইখাতা কেনার কারণ দেখিয়ে এবং পরীক্ষার ফি দেওয়ার নাম করে হঠাৎই অভিযোগকারীর কাছে ২ লক্ষ টাকারও বেশি চেয়ে বসে সে।
এদিকে, সেই কথা বিশ্বাস করে মোট দু’টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সেই পরিমাণ টাকা জমা করেন অভিযোগকারী। যদিও, পরে দেখা যায় দুটি অ্যাকাউন্টই রয়েছে অভিযুক্তের নামে। এমন পরিস্থিতিতে এই পুরো ঘটনা জানতে পেরে তদন্তে নামেন সাইবার থানার আধিকারিকরা। পাশাপাশি অভিযুক্তের চ্যাটের আইপি অ্যাড্রেস খুঁজে বের করেন তাঁরা।
এছাড়াও আরও কিছু খবরের পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার সরাসরি অভিযুক্তের বাড়িতেই হানা দেয় পুলিশ। তারপরেই রাত দশটা নাগাদ গ্রেফতার করা হয় ক্যানিংয়ের বাসিন্দা সায়ন ঘোষালকে। জানা গিয়েছে, তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া গিয়েছে। যা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
মূলত, কলেজ ছাত্রীর ছদ্মবেশে নকল প্রোফাইল খুলে মধ্যবয়সী অথবা বয়স্ক ব্যক্তিদের সঙ্গে চুটিয়ে চ্যাট করত অভিযুক্ত। এমনকি, কখনও কখনও সেই চ্যাটের গভীরতা এতটাই থাকত যে, তা পৌঁছে যেত “লিভ ইন” পর্যন্ত। এর পরেই নানান রকম অছিলায় টাকা আদায়ের চেষ্টা করত সায়ন। এদিকে, এই তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন সাইবার থানার ইন্সপেক্টর অমিতাভ সিনহা রায়। পাশাপাশি, তদন্তে সহযোগিতা করছেন সাব-ইন্সপেক্টর শ্রীমন কল্যাণ বোস সহ কনস্টেবল দেবাশীষ সরকার, খোকন ঘোষ ও কৌশিক ঘোষ।