বেনজির কীর্তি! মা-বাবা দিনমজুর, খেতে না পাওয়া ঘরের ছেলে আজ IIT’তে,লড়াই শুনলে কেঁদে ফেলবেন

বাংলাহান্ট ডেস্ক : আমাদের অনেকেরই স্বপ্ন থাকে জীবনে এগিয়ে যাওয়ার। তবে সেই স্বপ্ন পূরণ করতে হলে দরকার হয় পরিশ্রম ও অধ্যবসার। যারা দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করতে পারেন তারাই পান সফলতার স্বাদ। অভিজিৎ মাঝি তেমনই একজন। হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান অভিজিৎ সুযোগ পেলেন আইআইটিতে (Indian Institute of Technology)। অভিজিতের মা কৃষি মজুরের কাজ করেন।

হতদরিদ্র অভিজিৎ চান্স পেলেন আইআইটিতে (Indian Institute of Technology)

পোল্ট্রি ফার্মে শ্রমিকের কাজ করেন বাবা। সেই দিন আনা দিন খাওয়া সন্তানের পরিবারের সন্তান সবাইকে চমকে দিলেন আইআইটিতে (Indian Institute of Technology) সুযোগ পেয়ে। অভিজিৎ মাঝি পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapore) গুড়গুড়িপাল থানার কঙ্কাবতী গ্রামের বাসিন্দা। ছোট থেকেই ফুটবল খেলতে ভালোবাসে অভিজিৎ। তবে এই ফুটবল যে অভিজিতের জীবন ঘুরিয়ে দেবে তা কখনো তিনি ভাবতেও পারেননি।

আরোও পড়ুন : মাসে জমান জাস্ট ৩০০০ টাকা! SBI যা রিটার্ন দেবে আপনাকে…কল্পনার অতীত! হিসেবটা একবার দেখুন

এক ফুটবল কোচ অভিজিতের ব্যাপারে বলেন সবংয়ের দশগ্রাম সতীশচন্দ্র সর্বার্থসাধক শিক্ষাসদনের প্রধান শিক্ষক যুগল প্রধানকে। সেই বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে অভিজিতের খেলতে যাওয়ার কথা ছিল দশগ্রাম স্কুলের সুব্রত কাপ। প্রধান শিক্ষক জানান যদি অভিজিৎ ওই স্কুলে ভর্তি হয় তবেই সুযোগ পাবে সুব্রত কাপ খেলার। তারপর গ্রামের স্কুল ছেড়ে অভিজিৎ ভর্তি হয় সবংয়ের দশগ্রাম সতীশচন্দ্র সর্বার্থসাধক শিক্ষাসদনে।

আরোও পড়ুন : Fluently বলছেন English! বাংলার এই গ্রামের মহিলাদের কথা শুনে লজ্জা পাবেন উচ্চশিক্ষিতরাও

কিছুদিনের মধ্যেই ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্যরা বুঝতে পারেন যে অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র অভিজিৎ। ওই স্কুল থেকেই মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে অভিজিৎ পেয়েছিলেন সর্বোচ্চ নম্বর। তারপর অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে অভিজিৎ উত্তীর্ণ হয় উচ্চমাধ্যমিক। তারপর স্কুলের শিক্ষকদের সহায়তায় চলতে থাকে অভিজিতের তালিম। আইআইটিতে (Indian Institute of Technology) সুযোগ পেয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয় সে। 

main gate

বর্তমানে অভিজিৎ আইআইটি (Indian Institute of Technology) ভুবনেশ্বরে (Bhubaneswar) ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে (Electrical Engineering) ভর্তি হয়েছে। অভিজিৎকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছে একাধিক মেমোরিয়াল ট্রাস্ট। দরিদ্র পরিবারের সন্তান অভিজিৎ এখন গ্রামের গর্ব। গ্রামের বাসিন্দারা বলছেন, আগামী দিনে অভিজিৎকে দেখে অনুপ্রাণিত হবে সবংয়ের অন্যান্য পড়ুয়ারা।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর