এ কেমন আইন! কষ্ট করে জমানো টাকায় কেনা রিকশা ভেঙে দেওয়ায় হাউ হাউ করে কেঁদে ফেললেন চালক

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা মহামারি কর্মহীন করে দিয়েছে সমাজের প্রায় সিংহভাগ মানুষকেই। লকডাউনে কাজ হারিয়ে পরিবারের মুখে অন্ন তুলে দিতে একটি ব্যাটারিচালিত রিকশা কিনেছিলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) ফজলুর রহমান। অর্থ সংকটের মধ্যে থেকেও সুখের মুখ দেখতে ৮০ হাজার টাকা ধার করে এই রিকশা কিনেছিলনে পরিবারের মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার জন্য।

মাত্র ১৫ দিন আগেই এই রিকশা কিনেছিলেন ফজলুর রহমান। শত কষ্টের মধ্যেও এই রিকশাই বর্তমান সময়ে তাঁর পরিবারের মুখে হাসি ফুটিয়েছিল। পরিবারে তাঁর বাবা, মা, স্ত্রী এবং সন্তানরা তাঁর মুখের দিকেই তাকিয়ে বসে থাকে। রিকশা চালিয়ে যা উপার্জন হত, তাই দিয়েই অন্নের সংস্থান করতেন।

279457 whatsapp image 2020 10 07 at 14.47.13

ভেঙ্গে দেওয়া হল রিকশা
সবকিছুই ঠিক ঠাক চলছিল। কিন্তু সোমবার বাংলাদেশের জিগাতলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তরফ থেকে শুরু হয় ব্যাটারিচালিত রিকশা উচ্ছেদ অভিযান। এই অভিযানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বাংলাদেশের ফজলুর রহমানের রিকশাটাও। একমাত্র রোজগারের পথ এভাবে বন্ধ হওয়ায় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ফজলুর রহমান। শেষ সম্বল টুকু হারিয়ে, পরিবাররে লোকজনের কথা চিন্তা করে হাউহাউ করে কেঁদে ওঠেন।

riksa

কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন রিকশাওয়ালা
হঠাৎ নিষেধাজ্ঞার এই আইন শেষ করে দিল এক দারিদ্র পরিবারের বেঁচে থাকার স্বপ্ন। একটু একটু করে টাকা জমিয়ে, ৮০ হাজার টাকা ধার করে রিকশা কিনেছিলেন ফজলুর রহমান। রিকশা চালিয়েই তা শোধও করবেন ভেবেছিলেন। কিন্তু এখন এই ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে অসহায় ফজলুর রহমান। তিনি বললেন, ‘গাড়ি তো ওঁরা লইয়া গেল। কি কইরা এহন এই ৮০ আজার ট্যাহার কিস্তি দিমু? খামু কি কইরা? গলায় দড়ি দেওয়ন ছাড়া আর কোন পথ নাই এহন। গলায় দড়ি দিমু আমি।’


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর