বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশ ছিল, ৩১ মে-র মধ্যে রাজ্যকে নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরুর বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। সেই মতো স্কুল শিক্ষা দফতরের নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিজ্ঞপ্তি দেয়। তবে সেই নয়া নিয়ম নিয়ে এবার শুরু হল বিতর্ক। চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী তথা সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya) বললেন, ২০১৬ সালে যে নিয়মে পরীক্ষা হয়েছিল, তার যদি বদল হয় তাহলে এবার পরীক্ষা বাতিল হবে।
ঠিক কী বললেন বিকাশরঞ্জন? Bikash Ranjan Bhattacharya
নয়া নিয়োগ বিধি সামনে এনেছে স্কুল শিক্ষা দফতর। সেই নিয়ে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বললেন, “যাই করুন না কেন, ২০১৪ এবং ২০১৬ সালের যে নিয়ম ছিল, সেই নিয়ম মেনেই পরীক্ষা নিতে হবে।” বিকাশবাবু সাফ বললেন, ‘পূর্বের নিয়মের বাইরে যাওয়ার ক্ষমতা এই রাজ্য সরকারের নেই। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে মান্যতা দিতে তারা বাধ্য। অন্য কিছু করলেই বিপদে পড়বে।”
আইনজীবী স্পষ্ট করে বলেন, ‘২০১৬ সালের নিয়মের বাইরে গেলেই তা বাতিল হয়ে যাবে। ২০১৬ সালে যে নিরিখে পরীক্ষা হয়েছিল, সেই নিরিখেই পরীক্ষা হতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুর্নীতির জন্য ২০১৬-র সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল হয়েছে। সেই চাকরির সুবিধা কেউ পেতে পারে না, এটা বোঝা উচিত।”
প্রসঙ্গত, এসএসসির (School Service Commission) শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার নতুন বিধি প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে, নম্বর বিভাজনে বেশ কিছু বদল আনা হয়েছে। লিখিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে যেমন নম্বর বাড়ানো হয়েছে, তেমনই শিক্ষকতার পূর্ব অভিজ্ঞতা ও চাকরিপ্রার্থীর ক্লাস নেওয়ার দক্ষতার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারির হিসেবে ৪০ বছর বয়স অবধি চাকরির জন্য আবেদন জানাতে পারবেন প্রার্থীরা। তফশিলি জাতি, জনজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির প্রার্থীদের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (Government of West Bengal) নিয়ম অনুযায়ী বয়সের ঊর্ধ্বসীমায় ছাড় দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: পরিবারের সাথে বেড়াতে গিয়ে পাহাড় থেকে তিস্তায় পড়ল গাড়ি! বিজেপি নেত্রী সহ নিখোঁজ ৮ জন
আগে ৫৫ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হতো, তবে এবার সেটি বাড়িয়ে ৬০ করা হয়েছে। শিক্ষাগত যোগ্যতার ওপর আগে সর্বাধিক ৩৫ নম্বর ছিল, এখন তা কমিয়ে সর্বোচ্চ ১০ নম্বর করা হয়েছে। তবে ইন্টারভিউয়ের নম্বরে কোনো বদল না এনে সর্বাধিক ১০-ই রাখা হয়েছে।
ভিডিও দেখুন: https://www.youtube.com/live/XcTsyXoIG6w?si=LDL2fOujgYsYiK5M
নতুন কিছু বিষয় যুক্ত হয়েছে। যেমন শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার ওপর সর্বাধিক ১০ নম্বর ও ‘লেকচার ডেমোস্ট্রেশন’এর জন্য সর্বাধিক ১০ নম্বর দেওয়া হবে।
নতুন বিধি অনুযায়ী, প্রথম কাউন্সেলিংয়ের পর থেকে ১ বছর অবধি প্যানেল ও ওয়েটিং লিস্টের মেয়াদ থাকবে। তবে কমিশন চাইলে রাজ্যের আগাম অনুমতি নিয়ে সেই সময়সীমা আরও ৬ মাস পর্যন্ত বাড়াতে পারে। এই একাধিক ক্ষেত্রে বদল নিয়েই বিকাশরঞ্জনের সাফ বক্তব্য, ২০১৬ সালের নিয়মের বাইরে গিয়ে পরীক্ষা নিলেই তা বাতিল হয়ে যাবে।