বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত রবিবারে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হারের পর অবশেষে শেষ হতে চলেছে ভারতের জন্য দুঃসহ এক সপ্তাহ। সুপার সানডে-তে ডু অর ডাই ম্যাচে এবার উইলিয়ামসনদের মুখোমুখি হতে চলেছে বিরাট বাহিনী। এই ম্যাচ যেকোনও মূল্যে জিততেই হবে টিম ইন্ডিয়াকে, না হলে এবারের বিশ্বকাপে মূলপর্বে পৌছানোর স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে বিরাট ব্রিগেডের। যদিও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে রেকর্ড একেবারেই ভালো নয় ভারতীয় দলের।
শেষবার ২০০৩ সালে কিউয়ি বাহিনীকে পর্যুদস্ত করেছিল সৌরভ গাঙ্গুলীর দল। কিন্তু তারপর থেকে ১৮ বছর আইসিসি টুর্নামেন্ট শুধুমাত্র পরাজয়েরই স্বাদ পেয়েছে মেন ইন ব্লু। যদিও আজ ইতিহাস বদলাতে মরিয়া বিরাট বাহিনী। ইতিহাস দেখলে বিশ্বকাপের ক্ষেত্রে যে পাঁচবার নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছে ভারতীয় দল, পাঁচবারই হারতে হয়েছে ভারতকে। তবে রবিবার শেষ হাসি কে হাসবে তা বলে দেবে সময়ই।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হারের পর, যথেষ্ট প্রশ্ন উঠেছিল দল নির্বাচন নিয়ে। বিশেষত ঈশান কিশান, রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মতো খেলোয়াড়দের প্রথম একাদশের বাইরে রাখা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেক বিশেষজ্ঞই। তবে প্রশ্ন উঠলেও ভারতের প্রথম একাদশে খুব বেশি পরিবর্তনের সুযোগ নেই বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে একমাত্র বরুণ চক্রবর্তী জায়গায় সুযোগ দেওয়া হতে পারে অভিজ্ঞ অশ্বিনকে। এ ছাড়া আর তেমন কোন পরিবর্তন হয়তো করতে চাইবেনা বিরাট বাহিনী। অর্থাৎ ফের একবার সুযোগ পেতে চলেছেন ভুবনেশ্বর কুমার, হার্দিক পান্ডিয়া এবং সূর্য কুমার যাদবরা।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শুধু যে ভারতকেই হারতে হয়েছে তা নয়, নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তান হারিয়ে দিয়েছে নিউজিল্যান্ডকেও। তাই তাদের জন্যও আজ ভারতের বিরুদ্ধে জয় তুলে নেওয়া একান্ত জরুরী এমতাবস্তায় নিউজিল্যান্ড দলে তেমন বড় কোন পরিবর্তন হতে পারে কি? বিশেষজ্ঞদের মতে, উইলিয়ামসনও নিজের দলে বিশেষ পরিবর্তন করতে চাইবেন না। বিশেষত মিচেল স্যান্টনার এবং ইশ সোধির দলের বোলিং কম্বিনেশনে থাকা প্রায় নিশ্চিত। জানিয়ে রাখি ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের সপ্তরথীকে ঘরে ফিরিয়ে ছিলেন এই দুই বোলারই। অনেকের মতে দলের একমাত্র পরিবর্ত খেলোয়াড় হিসেবে যোগ দিতে পারেন অলরাউন্ডার কাইল জেমিনসন।