বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee), দু’জনের ‘প্রেম’ নিয়ে একসময় কম চর্চা হয়নি। গত বছর মার্চ মাসে ভরা এজলাসেই পার্থর প্রতি নিজের ‘ভালোবাসা’ জাহির করেছিলেন অর্পিতা। ছুঁড়ে দিয়েছিলেন ফ্লাইং কিস! প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর ঠোঁটের কোণায় দেখা গিয়েছিল হাসি। অপার সেই ‘রসায়ন’ নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছিল। সোমবারও ইডির বিশেষ আদালতে এমন কোনও দৃশ্য দেখা যায় কিনা তা দেখার জন্য মুখিয়ে ছিলেন অনেকে।
পার্থকে (Partha Chatterjee) দেখে এবার কী করলেন অর্পিতা?
গতকাল ইডির বিশেষ আদালতে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার (Recruitment Scam) চার্জ গঠন হওয়ার কথা ছিল। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী প্রত্যেক অভিযুক্তকে এদিন হাজির করানো হয়। জেলবন্দি পার্থর পাশাপাশি উপস্থিত হয়েছিলেন জামিনে মুক্ত অর্পিতা সহ এই মামলার অন্যান্য অভিযুক্তরা। তবে বাকিদের ছেড়ে অনেকেরই নজর ছিল অপার দিকে।
সূত্র উদ্ধৃত করে একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, গতকাল ভিড়ের মধ্যে বেশ কয়েকবার অর্পিতাকে খোঁজার চেষ্টা করেছিলেন পার্থ (Partha Chatterjee)। তবে অর্পিতা নাকি একবারের জন্যেও মুখ ফিরে তাকাননি। গত বছর যেখানে ‘ফ্লাইং কিস’ ছুঁড়তে দেখা গিয়েছিল, সেখানে এবার দেখা গেল সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র! জানা যাচ্ছে, এই নিয়ে নাকি এজলাসেও চর্চা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বড়দিনে বৃষ্টি বাংলায়! কোন কোন জেলা ভিজবে? এক নজরে আবহাওয়ার খবর
নিন্দুকদের প্রশ্ন, প্রেম যদি না থাকে, তাহলে অপা নামে এত সম্পত্তি কেন কিনবেন পার্থ? অর্পিতাও কি আগেরবার এমনি এমনি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর দিকে ‘ফ্লাইং কিস’ ছুড়েছিলেন? ইতিমধ্যেই এমন নানান বিষয় নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
এদিকে প্রায় আড়াই বছর জেলবন্দি থাকার পর সম্প্রতি জামিনে ছাড়া পেয়েছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। ওই মহলের ব্যাখ্যা বলছে, এই মুহূর্তে ফের মাখোমাখো প্রেম দেখাতে গিয়ে যদি জামিন বাতিল হয়ে যায়! হয়তো সেই কারণেই এদিন এজলাসে অর্পিতা সংযত ছিলেন। এই বিষয়ে অর্পিতার তরফ থেকে এখনও অবধি কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বলে খবর।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে ২০২২ সালের জুলাই মাসে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) গ্রেফতার করেছিল ইডি। তাঁর সূত্র ধরেই উঠে এসেছিল অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নাম। এর আগে তাঁদের ‘প্রেম’ নিয়ে আদালতে বড় দাবি করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গত ফেব্রুয়ারি মাসে আদালতে একটি নথি জমা করে ইডি দাবি করে, পার্থ-অর্পিতার মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। যে কারণে দু’জনে সন্তান দত্তক নিয়ে সম্মত হয়েছিলেন। শুধু তাই নয়! অর্পিতার ৩১টি এলআইসি পলিসিতেও রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে বলে দাবি করেছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি।