বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলাদেশে (Bangladesh) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সর্বতোভাবে চেষ্টা করে চলেছে সেনাবাহিনী। রবিবার উচ্চপদস্থ সেনাকর্তা, নৌ এবং বিমান বাহিনীর প্রধানদের মতামত শুনেছিলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তারপরেই সোমবার সেনাবাহিনীর মাঝারি পদের অফিসারদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। সেই বৈঠকে তিনি স্পষ্ট বলেন, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাধো হচ্ছে। সেসব শুনে মাথা গরম করা যাবে না। দেশে নির্বাচনের পরিস্থিতি গড়ে তুলতে হবে।
বাংলাদেশের (Bangladesh) সেনার বিরুদ্ধে চলছে অপপ্রচার
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বাংলাদেশের (Bangladesh) ছাত্রনেতা হাসনাত আবদুল্লাহ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে নাম না করে কটাক্ষ শানিয়েছিলেন সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, নির্বাচনের নামে আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় ফেরানোর চেষ্টা করছেন ওয়াকার-উজ-জামান। ভারতের নির্দেশেই নাকি তিনি এসব করছেন বলেও অভিযোগ করেছিলেন হাসনাত।
কী বার্তা দেন সেনাপ্রধান: পালটা বিবৃতি দেয় সেনাবাহিনী। সঙ্গে অপর ছাত্রনেতা সারজিস আলমও ওই অভিযোগের বিরোধিতা করেন। কিন্তু ততক্ষণে রাজনৈতিক উত্তাপ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। এরপরেই এ বি পার্টির নেতা আসাদুজ্জামান ফুয়াদ সহ অন্য ছাত্রনেতারা সরাসরি সরব হন সেনার বিরুদ্ধে। এমনকি ফুয়াদ এও বলেছিলেন, ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ির মতো ঢাকার (Bangladesh) সেনা ক্যান্টনমেন্টও গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, সোমবারের বৈঠকে একাধিক সেনা কর্তা বলেছিলেন, এই ধরণের মন্তব্যের জবাব না দিলে সেনার হালও বাংলাদেশের (Bangladesh) পুলিশের মতোই হবে। তবে সেনাপ্রধান এদিন বার্তা দেন, অপপ্রচারে বিচলিত না হয়ে মাথা ঠাণ্ডা রেখে দায়িত্ব পালন করতে।
আরো পড়ুন : স্বস্তিকার সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন, সিরিয়ালের ১০০০ পর্বে এসে ‘সূর্য’ দিব্যজ্যোতি বললেন, “কাউকে অন্ধের মতো…”
বাহিনীর মাঝারি অফিসারদের গুরুত্বপূর্ণ যথেষ্ট: ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বাংলাদেশে (Bangladesh) এর আগে ৭৫ এ অভ্যুত্থান হয়েছিল শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে। তার পরবর্তীতে তিন বছর ধরে বহু অভ্যুত্থান ঘটেছে। এই বিদ্রোহগুলি দেখলেই বোঝা যায় যে, সেনাবাহিনীর মাঝারি স্তরের কর্তারা বিদ্রোহ করে কর্তাদের বাধ্য করেছেন তাদের সঙ্গে থাকতে। এমনকি ক্ষমতায় থাকাকালীন গত অগাস্টের প্রথম দিকে শেখ হাসিনা বিক্ষোভ থামাতে সেনা (Bangladesh) নামালেও মাঝারি স্তরের অফিসাররাই দেশবাসীর উপরে গুলি ছুঁড়তে অস্বীকার করেছিলেন। তাদের কথা মেনে নিয়েছিলেন সেনাকর্তারা। তাই বৈঠকে এই মাঝারি অফিসারদের গুরুত্ব দিয়েছেন সেনাপ্রধান।
আরো পড়ুন : প্রসেনজিৎ শেয়াল, যিশু গাধা! “মুরগি”র তকমা কাকে দিলেন রচনা?
প্রসঙ্গত, বুধবার ইউনূসের চিন সফরে রওনা হওয়ার আগে আমেরিকার প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল জোয়েল ভাওয়াল আসছেন ঢাকা সফরে। সেখানে সেনাপ্রধানের সঙ্গে এবং ইউনূসের সঙ্গেও বৈঠক করবেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, মায়ানমারে রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফেরানোর বিষয়ে আলোচনা হবে বলে খবর। আর এর শর্ত হিসেবে আরাকান আর্মির দখলে থাকা রাখাইন প্রদেশকে আলাদা দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলতে পারেন ভাওয়েল। তবে এই প্রস্তাবে ইউনূস আদৌ রাজি হবেন কিনা সেটা বলা কঠিন।