বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার কি নাম বদলে যেতে চলেছে দেশের? ইন্ডিয়া (India)-র বদলে কি এবার দেশের নাম হতে চলেছে “ভারত”(Bharat)? এই প্রশ্নগুলিকে সামনে রেখেই এখন সর্বত্র চলছে আলোচনা। পাশাপাশি, সরগরম হয়ে উঠেছে রাজনীতিও। এছাড়াও, বিভিন্ন মহল থেকে সামনে আসছে প্রতিক্রিয়া। তবে, ঠিক এই আবহেই ফের একবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এল চিন (China)।
এমনিতেই এখন চিন ও পাকিস্তান (Pakistan) সমগ্র বিশ্বে ভারতের ক্রমবর্ধমান শক্তি নিয়ে চিন্তিত। এদিকে, ভারতের এহেন শক্তিবৃদ্ধি প্রত্যক্ষ করে বেজিংয়ের নেতারা ভারত আয়োজিত G-20 সম্মেলন এবং সেই সম্পর্কিত খবর থেকে জনগণের দৃষ্টি সরিয়ে দিতে তাদের প্রোপাগান্ডা টুল সক্রিয় করেছে। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই শি জিনপিং এবং তাঁর অধীনস্থদের নির্দেশে কাজ করা চিনা মিডিয়া গ্লোবাল টাইমস, ভারতের বিরুদ্ধে বিষদগার করে একটি দীর্ঘ ভারত বিরোধী আর্টিক্যাল প্রকাশ করেছে।
ভারতের নাম নিয়ে চিন কেন বিরক্ত: মূলত, ভারতের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে আবারও উস্কানিমূলক ও বিতর্কিত বক্তব্য প্রকাশ করেছে চিন। গ্লোবাল টাইমস এক আর্টিক্যালে লিখেছে ইন্ডিয়া নাকি ভারত? দেশের কাছে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে। গ্লোবাল টাইমস তার আর্টিক্যালে জানিয়েছে, নয়াদিল্লি এই সপ্তাহে G-20 সম্মেলনে নেতাদের গ্রুপের জন্য আয়োজন করতে প্রস্তুত। এদিকে, ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, G20-র আমন্ত্রণপত্রে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ক্ষেত্রে “প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া” না লিখে “প্রেসিডেন্ট অফ ভারত” লেখা হয়েছে। যা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। যেই সময়ে বিশ্বের মনোযোগ G-20 সম্মেলনের দিকে রয়েছে তখন নয়াদিল্লি বিশ্বকে কি বার্তা পাঠাতে চায়?
আরও পড়ুন: যাত্রাপথে উঠল সেলফি! চাঁদ-পৃথিবীর ছবিও তুলল আদিত্য-L1, দেখলে অবাক হবেন
ইন্ডিয়া নাকি ভারত: পাশাপাশি, আরও জানানো হয়, ভারত যখন ২০২২ সালের ডিসেম্বরে G20-র সভাপতিত্ব গ্রহণ করে, তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে মিডিয়া রিপোর্টে বলতে শোনা গিয়েছিল যে, ভারতের বছরব্যাপী G20 সভাপতিত্ব হবে “অন্তর্ভুক্তিমূলক, উচ্চাকাঙ্ক্ষী, সিদ্ধান্তমূলক এবং কর্মমুখী”। স্পষ্টতই, ভারত আন্তর্জাতিক প্রভাব বাড়াতে তার G20 সভাপতিত্ব ব্যবহার করতে চায়।
আরও পড়ুন: হলদিরাম কিনছে না টাটা গ্রুপ, প্রকাশ্যে এল কারণ, তারপরেই মিলল বড় ধাক্কা
ভারতকে পরামর্শ: এছাড়াও, বলা হয়েছে ভারত বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি এবং এই পথেই তারা এগিয়ে যেতে প্রস্তুত। ইতিমধ্যেই ভারত ব্রিটেনকে ছাড়িয়ে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে এবং অদূর ভবিষ্যতে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে। নিঃসন্দেহে, ভারত বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ভারত G-20 সম্মেলনের সভাপতিত্বের মাধ্যমে বিশ্বকে যে বার্তাই দিতে চায় না কেন, সেটি আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হবে আরও বেশি জন ভারতের কথার প্রতি মনোযোগ দেবে। আশা করি, ভারত ক্রমবর্ধমান বিশ্বব্যাপী মনোযোগের ভালো ব্যবহার করতে পারে এবং এই প্রভাবকে উন্নয়নের ক্ষেত্রে চালিকা শক্তিতে পরিণত করতে পারে।
এমতাবস্থায়, এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, ভারতের ক্রমবর্ধমান শক্তিতে চিন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তাই G-20-র খবর না দেখিয়ে তারা ভারতের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছে।