“হাঁ” করে তাকিয়ে দেখল পাকিস্তান-চিন-তুরস্ক! চন্দ্রযান-৫-এর প্রস্তুতি শুরু ভারতের, কী জানাল ISRO?

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে সম্প্রতি পাকিস্তানকে উপযুক্ত জবাব দেওয়ার পর, ভারত এবার এমন একটি বড় কাজ করতে চলেছে যা চমকে দেবে সবাইকে। শুধু তাই নয়, পাকিস্তান থেকে শুরু করে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু চিন, তুরস্ক এবং আজারবাইজানের জন্যও এটি একটি বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হবে। আসলে, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা তথা ISRO গত বৃহস্পতিবার (১৫ মে, ২০২৫) ঘোষণা করেছে যে, তারা চন্দ্রযান-৫/লুপেক্স (চন্দ্র মেরু অন্বেষণ) মিশনের জন্য জাপানি মহাকাশ সংস্থা JAXA-র সাথে তৃতীয় মুখোমুখি প্রযুক্তিগত বৈঠক (TIM-3) সম্পন্ন করেছে।

কী জানিয়েছে ISRO:

এই প্রসঙ্গে ISRO জানিয়েছে যে, চন্দ্রযান-৫/লুপেক্স মিশন চাঁদের গবেষণা সংক্রান্ত মিশনে ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে প্রমাণিত হবে। এই মিশনের লক্ষ্য হল ২০৪০ সালের মধ্যে ভারতীয় মহাকাশচারীদের চাঁদে অবতরণ করানো। ভারতীয় মহাকাশ সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ১৩ থেকে ১৪ মে বেঙ্গালুরুতে ISRO-র সদর দফতরে সম্পন্ন হওয়া ওই বৈঠকে ISRO, JAXA এবং জাপানের মিতসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ (MHI)-এর উচ্চ অধিকারিক এবং প্রকল্প আধিকারিক সহ প্রযুক্তিগত দলের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।

What did ISRO say about Chandrayaan-5.

ISRO অনুসারে জানা গিয়েছে যে, চন্দ্রযান-৫/লুপএক্স মিশন হবে চন্দ্রযান সিরিজের চন্দ্র অভিযানের পঞ্চম মিশন। যেটি চন্দ্রযান-১, চন্দ্রযান-২ (অরবিটার-ভিত্তিক চন্দ্র অনুসন্ধান), চন্দ্রযান-৩ (ল্যান্ডার-রোভার-ভিত্তিক ইন-সিটু এক্সপ্লোরেশন) এবং আসন্ন চন্দ্রযান-৪ (ভারতের প্রথম চন্দ্র নমুনা প্রত্যাবর্তন মিশন)-এর ওপর ভিত্তি করে সম্পন্ন হবে।

আরও পড়ুন: ইংল্যান্ড সফরের আগে দু’ভাগে বিভক্ত টিম ইন্ডিয়া! কী পরিকল্পনা করছে BCCI? মিলল আপডেট

সংস্থাটি জানিয়েছে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর স্থায়ী ছায়া অঞ্চলের (PSR) আশেপাশের অঞ্চলে জল সহ চাঁদের উদ্বায়ী পদার্থগুলিকে গবেষণা করার জন্য JAXA-র সহযোগিতায় এই মিশনটি সম্পন্ন হবে। ISRO-র মতে, JAXA তাদের H3-24L লঞ্চ ভেহিক্যালের মাধ্যমে এই মিশনটি উৎক্ষেপণ করবে। এই মিশনে ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা কর্তৃক নির্মিত একটি চন্দ্র ল্যান্ডার এবং জাপান-নির্মিত চন্দ্র রোভার MHI বহন করা হবে। জারি করা এক বিবৃতি অনুসারে, চন্দ্র ল্যান্ডার ছাড়াও, ISRO এই মিশনের জন্য কিছু বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতিও তৈরি করবেন।

আরও পড়ুন: ফের শুরু হচ্ছে IPL! কিন্তু RCB বনাম KKR ম্যাচ নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে চিন্তা, আদৌ হবে ম্যাচটি?

মহাকাশ সংস্থা জানিয়েছে যে, এই মিশনের জন্য বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ISRO, JAXA, ESA (ইউরোপিয় মহাকাশ সংস্থা) এবং NASA (ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) সরবরাহ করবে। এগুলির সবকটিই চন্দ্র মেরু অঞ্চলে সঞ্চিত উদ্বায়ী পদার্থের অন্বেষণ এবং ইন-সিটু বিশ্লেষণের (এর অর্থ পদার্থ, জীব বা তাদের প্রাকৃতিক ও অস্থির পরিবেশে ঘটনাগুলির পর্যবেক্ষণ) সাথে বিষয়গতভাবে যুক্ত। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, গত ১০ মার্চ, ২০২৫ তারিখে কেন্দ্রীয় সরকার আর্থিক অনুমোদনের আকারে চন্দ্রযান-৫/লুপেক্স মিশনকে সবুজ সংকেত দেয়। এদিকে, ওই বৈঠকে, বৈজ্ঞানিক সচিব এম গণেশ পিল্লাই উভয় দলকে এখনও পর্যন্ত প্রযুক্তিগত সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানান এবং এই মিশনের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত দিকগুলির জন্য সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার গুরুত্বের ওপরেও জোর দেন।

দেখুন গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও:

Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

X