“তুমি কে ভাই?” খিদিরপুরে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীর প্রশ্নবানে বিদ্ধ মমতা, কী জানালেন “ক্ষুব্ধ” মুখ্যমন্ত্রী?

বাংলা হান্ট ডেস্ক: রবিবার রাত ২ টো নাগাদ খিদিরপুরের অরফ্যানগঞ্জ মার্কেটে ভয়াবহ আগুন লাগে। আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে পুড়ে ছাই হয়ে যায় প্রায় শতাধিক দোকান। এমতাবস্থায়, রাতভর দমকলের ২০ টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। সোমবার সকালেও খিদিরপুর বাজার থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। ঠিক এই আবহেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য খিদিরপুরে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

কী জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee):

সেখানে সমগ্র পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি ক্ষতিপূরণ এবং স্থায়ী বাজার তৈরির আশ্বাস দেন তিনি। পাশাপাশি, সেখানে উপস্থিত ব্যবসায়ীদের প্রশ্নেরও উত্তর দেন তিনি। এছাড়াও, এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ীদের উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) সামনে পেয়ে এক ব্যবসায়ী প্রশ্ন করেন, “আমাদের সংসার এবার চলবে কীভাবে?” সেই প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানান, “ভাই, আমরা তো আর দোকানে আগুন লাগাইনি। তোমাদের অব্যবস্থার জন্যই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।” তারপরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার নতুন মার্কেট করে দেবে। এটাই সরকারের দায়িত্ব।

এদিকে, এরপর আরেক ব্যবসায়ী মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) উদ্দেশ্যে একের পর এক প্রশ্ন তুলে জানতে চান, “বাজার ঠিক হতে তো অন্তত ৬ মাস লাগবে।” তার উত্তরে মমতা বলেন, “কে বলেছে? কে ভাই তুমি? সরকার সমব্যথী। কিন্তু দোকান শিফট হওয়ার পরেই ক্ষতিপূরণের টাকা মিলবে।”

আরও পড়ুন: টেস্ট সিরিজের আগেই টিম ইন্ডিয়ায় পরিবর্তন? ইংল্যান্ডে “সারপ্রাইজ এন্ট্রি” নিতে প্রস্তুত এই তারকা খেলোয়াড়

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানান, “এই মার্কেট নতুন করে গড়ে তোলা হবে। সেখানে বিজ্ঞানসম্মতভাবে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকবে। আপাতত সংলগ্ন এলাকায় একটি জায়গায় অস্থায়ীভাবে বাজার স্থানান্তরিত করা হবে।” সেই জায়গা আগে অন্য কাজে রাখা হয়েছিল বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানে BLA-র দাপট! মুহুর্মুহু আক্রমণে প্রাণ হারাচ্ছে পাক সেনা, ধ্বংস সার্ভিল্যান্স সিস্টেমও

জানিয়ে রাখি, এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের একাংশ জানিয়েছে, ওই বাজারে দোকানগুলি অপরিকল্পিতভাবে তৈরি ছিল। পাশাপাশি, প্রবেশপথ সরু হওয়ার কারণে যথাযথভাবে দমকল পৌঁছতে পারেনি। আর ওই কারণেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও, অধিকাংশ দোকানে দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় সামগ্রিক পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে বলেও জানা গিয়েছে।

দেখুন গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও: