বাংলা হান্ট ডেস্ক: পাহেলগাঁও-তে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পরে পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিতে ইতিমধ্যেই সফলভাবে “অপারেশন সিঁদুর” সম্পন্ন করেছে ভারত (India)। তারপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে ভারতের প্রাক্তন সেনা প্রধান মনোজ নারাভানে সতর্ক করে বলেছেন যে, “অপারেশন সিঁদুর” ভারতের পদক্ষেপের একটি ঝলক মাত্র। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ২৮ তম সেনা প্রধান মনোজ নারাভানে সোশ্যাল সাইট “X”-এ লিখেছেন যে, “আভি পিকচার বাকি হ্যায়….”।
পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিল ভারত (India):
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে পাকিস্তানের একাধিক স্থানে জঙ্গিঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করে ভারতের (India) এয়ারস্ট্রাইকের পরেই নারাভানের এই প্রতিক্রিয়া সামনে এসেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, পহেলগাঁও-তে ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলার পর, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের (PoK) সন্ত্রাসবাদী শিবিরগুলিতে নির্ভুল হামলা চালায়। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয় “অপারেশন সিঁদুর”।
পহেলগাঁও-তে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারতের পদক্ষেপ: মূলত, পাহেলগাঁও-তে সন্ত্রাসবাদী হামলার ২ সপ্তাহ পর ভারত (India) এই অভিযান সম্পন্ন করেছে। পাহেলগাঁও-তে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৬ জন। যাঁদের মধ্যে ছিলেন বেশিরভাগই পর্যটক এবং একজন নেপালি নাগরিকও ছিলেন। বুধবার ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং ভারতীয় বিমান বাহিনী পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে জৈশ-ই-মোহাম্মদ, লস্কর-ই-তৈবা এবং হিজবুল মুজাহিদিন-এর ৯ টি সন্ত্রাসবাদী শিবির ধ্বংস করেছে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই নির্ভুল হামলার লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানি সামরিক সম্পদের ক্ষতি না করেই মূল সন্ত্রাসবাদী পরিকাঠামো ধ্বংস করা।
Abhi picture baki hai…
— Manoj Naravane (@ManojNaravane) May 7, 2025
সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ভারতীয় বিমান বাহিনী পাকিস্তানি ভূখণ্ডের মধ্যে ৪ টি স্থানে হামলা চালিয়েছে। এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আরও ৫ টি স্থানে হামলা চালায়। ভারত (India) হামলার প্রথম অফিসিয়াল ফুটেজ প্রকাশ করেছে। যেখানে ভিডিওটিতে একটি সাহসী বার্তা রয়েছে, “মিশন সম্পন্ন হয়েছে।”
আরও পড়ুন: “অপারেশন সিঁদুর”-এর সাফল্যে পাকিস্তানকে ২২ শব্দে কড়া বার্তা দিলেন সচিন, স্পষ্ট জানালেন…..
পাকিস্তানের ৯ টি সন্ত্রাসবাদী আস্তানা ধ্বংস: যেসব শিবিরকে টার্গেট করা হয়েছিল, তার মধ্যে ছিল বাহাওয়ালপুরের মারকাজ সুবহানআল্লাহ। যেটি ১৫ একর এলাকা জুড়ে থাকা জইশ-ই-মোহাম্মদের একটি ঘাঁটি। যা এই গোষ্ঠীর প্রাথমিক প্রশিক্ষণ ও আদর্শের ঘাঁটি হিসেবে কাজ করত। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার সাথেও এই ঘাঁটি যুক্ত ছিল।
এদিকে, জইশ-ই-মোহাম্মদের প্রধান মাওলানা মাসুদ আজহার, তার ভাই মুফতি আব্দুল রউফ আসগর এবং ৬০০ জনেরও বেশি ক্যাডারও ওই পরিসরে থাকত।এছাড়াও, মুরিদকেতে লস্করের ৮২ একরের মাদ্রাসা মারকাজ তাইয়বা সহ অস্ত্র প্রশিক্ষণ ক্ষেত্র এবং একটি গেস্ট হাউসও টার্গেটে পরিণত হয়। এগুলি ওসামা বিন লাদেনের অর্থ সাহায্যে পরিচালিত হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
দেখুন গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও: