বাংলা হান্ট ডেস্ক: ২০২৩-এর ODI বিশ্বকাপে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের ঘুম একাই উড়িয়ে দিয়েছিলেন ভারতের তারকা ফাস্ট বোলার মহম্মদ শামি (Mohammed Shami)। এমনকি, ওই টুর্নামেন্টে ২৪ টি উইকেট নিয়ে নজির গড়েন তিনি। তবে, এবার শামি তাঁর অবসরের বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। উল্লেখ্য যে, মহম্মদ শামি বিশ্বকাপ ২০২৩ ফাইনালের পর থেকে মাঠ থেকে দূরে রয়েছেন। চোটের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ছিলেন না তিনি। এরপর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম দুই টেস্টেও দলে রাখা হয়নি তাঁকে। ঠিক এই আবহেই তাঁর অবসরের প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়াটি উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
কি জানিয়েছেন শামি: একটি সাক্ষাৎকারে অবসরের বিষয়ে বলতে গিয়ে শামি জানান, “যেদিন আমার কাছে ক্রিকেট একঘেয়ে হয়ে উঠবে, আমি ওইদিন খেলা বন্ধ করে দেব। আমি কিছুর ভার বহন করতে চাই না এবং কেউ আমাকে এই বিষয়ে বোঝাবেও না। কিংবা আমার পরিবারের কেউও আমাকে এই ব্যাপারে কিছু বলবে না। যেদিন ঘুম থেকে উঠে আমি বুঝতে পারবো আরে, (বিরক্তির সাথে) আমাকে মাঠে যেতে হবে, ওই দিনই আমি টুইটারে আমার অবসর ঘোষণা করব।”
শামি জানালেন সেরা অধিনায়কের নাম: এদিকে, সেরা অধিনায়কের নামও জানিয়েছেন শামি। তবে, তিনি এটাও জানান কাউকে কারোর সঙ্গে তুলনা করা ঠিক নয়। তিনি বলেন, “এটা সবার জন্য আলাদা। এই জিনিসগুলি তুলনা দিয়ে শুরু হয়, তবে আপনি কেবল তাকেই বলবেন যিনি সবচেয়ে সফল হয়েছেন। আমার জন্য তিনি এমএস ধোনি। কারণ তাঁর মতো সফল কেউ নয়।”
আরও পড়ুন: ৬৩ বছর ধরে এই মুসলিম দেশে মঞ্চস্থ হচ্ছে রামায়ণের ওপর নৃত্যনাট্য! রোজা রেখেও অংশগ্রহণ করেন শিল্পীরা
“ভারতের ফাস্ট বোলিং ভবিষ্যত দারুণ হবে”: ভারতীয় ক্রিকেট দলের ফাস্ট বোলিং প্রসঙ্গে শামি জানান, “সবাই বিশ্বকাপের সময়ে বোলারদের পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলেন, কিন্তু সামগ্রিকভাবে দেখতে হলে আপনাকে ২০১৩-১৪-তে ফিরে যেতে হবে। সেখান থেকেই এটি শুরু হয়েছিল। আমরা যদি দেখি, এবার বিশ্বকাপে আমাদের মাত্র তিনজন ফাস্ট বোলার পারফর্ম করছিল। যার কারণে আমরা ভবিষ্যৎ বোলারদের জন্য একটি বেঞ্চমার্ক তৈরি করেছি বলে আমরা বিশ্বাস করি।”
আরও পড়ুন: ৯০ বছরে এই প্রথম! ভারতীয় পর্যটকদের দৌলতে রেল ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার হয়ে উঠল ভারত
২০২৩ সালের বিশ্বকাপে তৈরি করেন আলোড়ন: উল্লেখ্য যে, ২০২৩ সালের বিশ্বকাপে মহম্মদ শামি আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। প্রথম দিকের ম্যাচে সুযোগ না পেলেও প্লেয়িং একাদশে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি নজির তৈরি করেন। ২৪ টি উইকেট নিয়ে তিনিই ছিলেন টুর্নামেন্টের সবথেকে বেশি উইকেট প্রাপক। যদিও ফাইনালে, অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের মুখে পড়তে হয়েছিল ভারতকে।