বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে শোচনীয় পরাজয়ের পর, পাকিস্তান এখন ভারতের (India) কাছে জলের জন্য কাতর আবেদন জানাতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই বুধবার অর্থাৎ ১৪ মে পাকিস্তান সরকার ভারতের জলবিদ্যুৎ মন্ত্রককে একটি চিঠি লিখে সিন্ধু জলবন্টন চুক্তি স্থগিতের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছে।
ভারতের (India) উদ্দেশ্যে কী জানিয়েছে পাকিস্তান:
এই প্রসঙ্গে পাকিস্তানের জলসম্পদ সচিব সৈয়দ আলী মুর্তজা ভারতের (India) উদ্দেশ্যে লেখা এক চিঠিতে বলেছেন, “সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করার কারণে, পাকিস্তানে খরিফ ফসলের জন্য একটি বড় ধরণের জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে।” তবে এই বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
জল নিয়ে পাকিস্তানকে সতর্ক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্পষ্টভাবে বলেছিলেন যে, জল এবং রক্ত একসাথে প্রবাহিত হতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী সতর্ক করে আরও বলেন যে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী ও সামরিক ঘাঁটির বিরুদ্ধে গৃহীত ব্যবস্থা কেবল স্থগিত করা হয়েছে এবং আগামী দিনে পাকিস্তানের গ্রহণ করা মনোভাবের ভিত্তিতে ভারত (India) পরবর্তী পদক্ষেপ বিচার করবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটা যুদ্ধের যুগ নয়, কিন্তু এটা সন্ত্রাসবাদেরও যুগ নয়।”
আরও পড়ুন: পূর্ণমের বাড়িতে শুভেন্দু! গাইলেন দেশাত্মবোধক গান, পরিবারের অনুমতি নিয়ে জানালেন মনের ইচ্ছে
পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী হুমকি দিয়েছিলেন: এদিকে, গত মঙ্গলবার (১৩ মে, ২০২৫) পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী এবং বিদেশেমন্ত্রী ইশাক দার জানান যে, ভারত (India) যদি সিন্ধু জল চুক্তি পুনরায় চালু না করে এবং পাকিস্তানের দিকে যাওয়া জলকে ভিন্ন দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে, তাহলে দুই দেশের মধ্যে কার্যকর যুদ্ধবিরতি বিপদে পড়তে পারে। তিনি বলেন, “আমরা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানাই, কিন্তু উভয় পক্ষের একে অপরের ভূখণ্ডে বড় ধরণের সামরিক অভিযানের পর, জলের সমস্যাটি শীঘ্রই সমাধান করা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়েছে নাম! ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি তৃণমূল বিধায়ক
পহেলগাঁও-তে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারত কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও-তে সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা ঘটে। যেখানে প্রাণ হারান ২৬ জন। এরপরেই প্রধানমন্ত্রী মোদীর সভাপতিত্বে সম্পন্ন হওয়া সিসিএস বৈঠকে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করা থেকে শুরু করে পাকিস্তানের সকল ধরণের ভিসা বাতিল করা, পাকিস্তান হাইকমিশনে কর্মী হ্রাস করা এবং ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত বন্ধ করা সহ একাধিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
দেখুন গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও: