বাংলাহান্ট ডেস্ক : ‘আমরা কেউ বাঁচব না… MAYDAY, MAYDAY’, হস্টেলে ধাক্কা লেগে বিষ্ফোরণ ঘটার আগে শেষ বার্তা টুকুই পাঠাতে পেরেছিলেন এয়ার ইন্ডিয়ার অভিশপ্ত বিমানের (Plane Crash) পাইলট। বিমান টেকঅফ করার পর মুহূর্তেই কোথাও একটা গণ্ডগোল হচ্ছে তখ বুঝে গিয়েছিলেন অভিজ্ঞ পাইলট সুবীর সভরওয়াল। বিপদ বুঝে আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের ATC কে পাঠিয়েছিলেন MAYDAY বার্তা, যা অত্যন্ত জরুরি পরিস্থিতিতেই পাঠিয়ে থাকেন পাইলটরা। কিন্তু যতক্ষণে পালটা উত্তর আসে, ততক্ষণে আর শেষরক্ষা করা যায়নি।
টেকঅফের (Plane Crash) পরেই বিপদের আঁচ পান পাইলট
বৃহস্পতিবার দুপুরে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে টেকঅফ করার পরেই বিপদ বুঝে গিয়েছিলেন AI171 বিমানের (Plane Crash) পাইলট সুমিত সভরওয়াল। আর বিপদ আঁচ করতে পেরেই নাকি ATC কে বার্তা পাঠিয়েছিলেন তিনি। কী ছিল তাঁর শেষ বার্তায়? এবার সামনে এসেছে তা।
কী ছিল শেষ বার্তায়: বিশেষ সূত্রকে উদ্ধৃত করে এবিপি আনন্দে বলা হয়েছে, টেকঅফের (Plane Crash) পরেই এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে জরুরি বার্তা পাঠিয়েছিলেন পাইলট। সেই বার্তায় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘থ্রাস্ট ইজ নট অ্যাচিভড… ফলিং… কমিউনিকেশন লাইন ডিউরিং দিস ট্রান্সমিশন ভেরি উইক… মেডে’। অর্থাৎ ‘বল পাওয়া যায়নি… পড়ে যাচ্ছি… বিমান উপরে উঠছে না… আমরা বাঁচব না… যোগাযোগ ব্যবস্থা দুর্বল…’।
কী অর্থ এই বার্তার: অত্যন্ত বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে বিমান এবং জাহাজ থেকে ‘MAYDAY, MAYDAY’ বার্তা পাঠানো হয়। ফরাসি শব্দ m’aider থেকে এসেছে এই শব্দ। এর অর্থ হল, ‘দ্রুত এসে আমাকে সাহায্য করো’। বিপদ বুঝতে পেরেই MAYDAY বার্তা পাঠিয়েছিলেন পাইলট। কিন্তু এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল থেকে যোগাযোগ করা হলে আর উত্তর পাওয়া যায়নি বিমান (Plane Crash) থেকে।
আরো পড়ুন : বিমান দুর্ঘটনার ভাইরাল ভিডিওর নেপথ্যে এক ১৭ বছরের কিশোর! আতঙ্কে দিন কাটছে আরিয়ানের
টেকঅফের প্রায় ১ মিনিটের মধ্যেই বিপদ নেমে এসেছিল বলে জানা গিয়েছে। বিমানটি উপরে ওঠার বদলে দ্রুত বেগে নীচে নেমে আসতে থাকে। কিছুটা এগিয়েই ধাক্কা মারে মেডিকেল কলেজের হস্টেলে। দুর্ঘটনার অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে কিছুটা অংশ হস্টেলের ভেতরে ঢুকে যায়। বাকি অংশটা আছড়ে পড়ে মাটিতে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটে বিরাট বিষ্ফোরণ। AFP সূত্রে খবর, এখনো পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ছুঁয়েছে ২৭৯।