গৌতম আদানির গ্রেফতারি পরোয়ানার বিষয়ে এবার সামনে এল ভারত সরকারের বিবৃতি! স্পষ্ট জানানো হল…..

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, শুক্রবার ভারত সরকার জানিয়েছে, তারা ঘুষের অভিযোগ সম্পর্কিত শিল্পপতি গৌতম আদানির (Gautam Adani) বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা সম্পর্কে আমেরিকার আধিকারিকদের কাছ থেকে কোনও অনুরোধ পায়নি। এদিকে, মার্কিন বিচার বিভাগের গৌতম আদানির বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগের আবহে ভারত সরকারের তরফে এই বিরাট প্রতিক্রিয়ার সামনে এসেছে।

আদানির (Gautam Adani) গ্রেফতারির বিষয়ে কি জানাল ভারত সরকার:

এই প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রক (MEA) একটি অফিসিয়াল বিবৃতিতে বলেছে যে, “আমেরিকায় আদানি (Gautam Adani) সম্পর্কিত সংস্থাগুলির আইনি প্রক্রিয়ায় সরকারের কোনও ভূমিকা নেই।” প্রেস ব্রিফিংয়ের সময়ে বিদেশ মন্ত্রকের একজন মুখপাত্র জানান, “এটি একটি আইনি বিষয়। যাতে ব্যক্তিগত সংস্থা এবং ব্যক্তি এবং মার্কিন বিচার বিভাগ জড়িত।”তিনি আরও বলেছিলেন যে, এই ক্ষেত্রে “প্রতিষ্ঠিত পদ্ধতি এবং আইনি পথ” অনুসরণ করা হবে।

জানিয়ে রাখি যে, ভারতে যে কোনও আইনি পদক্ষেপের জন্য আমেরিকান আধিকারিকদের ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে জানাতে হবে। গ্রেফতারি পরোয়ানার ক্ষেত্রেও এই বিষয়টি প্রযোজ্য। এদিকে, এই সংক্রান্ত তথ্য পাওয়ার পর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সংশ্লিষ্ট ফেডারেল এজেন্সিগুলিকে অনুরোধের ভিত্তিতে কাজ করার নির্দেশ দিতে পারে। আমেরিকায় গৌতম আদানির (Gautam Adani) বিরুদ্ধে অভিযোগে ভারতে সোলার এনার্জি কন্ট্রাক্ট হাসিল করার জন্য ঘুষ দেওয়া এবং প্রতারণামূলক আর্থিক প্রকাশের মাধ্যমে মার্কিন বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগ রয়েছে।

What did the Indian government say about Gautam Adani arrest warrant.

এদিকে, আমেরিকার আধিকারিকরা যদি আদানিকে (Gautam Adani) অভিযোগের মুখোমুখি করার জন্য আমেরিকায় আনতে চায়, তবে তারা ভারত-মার্কিন প্রত্যর্পণ চুক্তিকে কাজে লাগাতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এই চুক্তির অধীনে, আমেরিকাকে মার্কিন আইন লঙ্ঘনের সাথে অভিযুক্ত ক্রিয়াকলাপগুলির সাথে যুক্ত প্রমাণ সরবরাহ করতে হবে এবং তাদের এখতিয়ারের ওপর প্রভাব প্রদর্শন করতে হবে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিপদের মুখে হিন্দুরা! স্পষ্ট হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের কড়া মনোভাব, ঘনিয়ে আসছে বড় সঙ্কট

ঠিক কি ঘটেছে: নিউইয়র্কের ফেডারেল আদালতে শুনানির সময়ে, গৌতম আদানির (Gautam Adani) কোম্পানির বিরুদ্ধে মার্কিন বিনিয়োগকারীদেরকে প্রতারণা এবং সোলার এনার্জির কন্ট্রাক্ট পেতে ভারতীয় আধিকারিকদের বিপুল ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে আদানি গ্রিন এবং অ্যাজুর পাওয়ার গ্লোবালকে এই সোলার কন্ট্রাক্ট পেতে ভুল পথে ভারতীয় আধিকারিকদের ২৬৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২,২৩৬ কোটি টাকা) ঘুষ দিয়েছিল।

আরও পড়ুন: হাতে আসছে কোটি কোটি টাকা! আয়ের দিক থেকে বিরাট-রোহিতকে পেছনে ফেললেন ভারতের এই তারকা প্লেয়ার

শুধু তাই নয়, এই ঘুষের বিষয়টি আমেরিকান কোম্পানি অর্থাৎ অ্যাজুর পাওয়ার গ্লোবালের কাজ থেকে গোপন করা হয়। এই চুক্তির মাধ্যমে ২০ বছরে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি মুনাফা হবে বলে অনুমান করা হয়েছিল। আর এই বিষয়টিকে সামনে রেখেই ঋণ এবং বন্ড সংগ্রহ করা হয়। তবে, এই অভিযোগগুলির পরে দ্রুত আদানি গ্রুপ একটি বিবৃতিতে জারি করে জানিয়েছিল যে আমেরিকান তদন্ত সংস্থার অভিযোগগুলি সম্পূর্ণভাবে ভিত্তিহীন। পাশাপাশি, আদানি গ্রুপ আইনের পরিধির মধ্যে প্রতিটি সিদ্ধান্ত নেয় বলেও জানানো হয়।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর