বাংলা হান্ট ডেস্ক: ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। মূলত, ওই দিন তিনি নোটবন্দির (Demonetisation) ঘোষণা করেন। যার ফলে তৎকালীন প্রচলিত ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোটকে বাতিল করে দেওয়া হয়। এদিকে, এহেন সিদ্ধান্তে রীতিমতো সাড়া পড়ে যায় সমগ্ৰ দেশজুড়েই। পাশাপাশি, বিভিন্ন সমালোচনারও সম্মুখীন হতে হয় সরকারকে।
যদিও, তারপরে নতুন ৫০০ এবং ২,০০০ টাকার নোট সামনে আসে। তবে, নোটবন্দির পরেও ওই বাতিল হওয়া নোটগুলির ফের চালু হওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন জল্পনা শুরু হয়। এদিকে, এবার বাতিল হয়ে যাওয়া পুরোনো ৫০০ এবং ১,০০০ টাকার নোটকে ফের চালু করার বিষয়ে বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে শুনানির আবেদন গত মঙ্গলবার খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
বিচারপতি বি আর গভাই এবং বিচারপতি বিক্রম নাথের বেঞ্চ আবেদনকারীদের এই বিষয়ে সরকারের কাছে আবেদন জানানোর অনুমতি দিয়েছে। পাশাপাশি শীর্ষ আদালত সরকারকে এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নিতে এবং ১২ সপ্তাহের মধ্যে প্রতিটি অভিযোগ বিবেচনা করার নির্দেশও দিয়েছে।
বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছে, “সাংবিধানিক বেঞ্চের সিদ্ধান্তের পরে আমরা মনে করি না যে, বাতিল নোট গ্রহণের জন্য সংবিধানের ১৪২ নম্বর আর্টিক্যালের অধীনে বিভিন্ন মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের এখতিয়ারকে ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হবে। এমন পরিস্থিতিতে যদি কোনো আবেদনকারী সরকারের পদক্ষেপে সন্তুষ্ট না হন সেক্ষেত্রে, তিনি সংশ্লিষ্ট হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে পারবেন।”
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, এর আগে শীর্ষ আদালত পুরোনো ৫০০ এবং ১,০০০ টাকার নোট বাতিলের বিষয়ে সরকারের ২০১৬ সালের সিদ্ধান্তকেই বহাল রেখেছিল। পাশাপাশি, পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে আলোচনা হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় কোনো ত্রুটি থাকতে পারে না। এছাড়াও, আদালত আরও জানায় যে, ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর নোট বাতিলের জারি করা বিজ্ঞপ্তিকে অযৌক্তিক বলা যায় না এবং এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার ভিত্তিতে তা বাতিলও করা যাবে না।