বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠনের পর থেকেই সংখ্যালঘুদের দুর্দশার চিত্র চিন্তা বাড়িয়েছে ভারতের (India)। উপরন্তু সম্প্রতি ইসকন সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি অশান্তির আগুনেই ঘি সংযোগ করেছে। বাংলাদেশের একাংশের ভারত বিরোধী মনোভাব এপারেও বিক্ষোভের সূত্রপাত ঘটিয়েছে। এমতাবস্থায় বারংবার প্রশ্ন উঠছিল নয়াদিল্লির ভূমিকা নিয়ে। এবার সমস্ত বিতর্কের জবাব দিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক করতে গেলেন ভারতের (India) বিদেশ সচিব। কী কী পয়েন্ট উঠে এল আলোচনায়? মিলল কি কোনো সমাধান সূত্র?
বাংলাদেশে বৈঠক ভারত (India) এবং ওদেশের বিদেশ সচিবের
বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এই বৈঠকের দিকেই নজর ছিল বিভিন্ন মহলের। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মহম্মদ জসিমউদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকের পর ভারতীয় (India) বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে বরাবর ভারতের সুসম্পর্ক বজায় থেকেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গেও এই সম্পর্কের ধারা বজায় রাখতে চেয়েই বৈঠকে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ভারত।
কী আলোচনা হল বৈঠকে: মিস্রি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা পদে শপথ নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই ছিলেন প্রথম রাষ্ট্রনেতা যিনি মহম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছিলেন। ফোনে দুজনের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ কথাবার্তাও হয় বলে জানান তিনি। দুই দেশের বিদেশ সচিবদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। আবার প্রধানমন্ত্রী মোদীর ডাকে গ্লোবাল সাউথ সম্মেলনেও যোগ দিয়েছিলেন মহম্মদ ইউনূস।
আরো পড়ুন : বছর শেষে বাম্পার ধামাকা, শাহরুখের রাজপাট উপড়ে তিন দিনেই রেকর্ড ব্যবসা আল্লুর ‘পুষ্পা ২’র
ওঠে সংখ্যালঘু প্রসঙ্গ: ইউনূস সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চেয়ে আগ্রহ প্রকাশ করার পাশাপাশি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে বলে জানান মিস্রি। তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের উপরে অত্যাচার, তাদের সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে বৈঠকে। সংখ্যালঘুদের সাংষ্কৃতিক এবং ধর্মীয় সম্পত্তির উপরে নির্বিচারে হামলার মতো বিষয়ও এদিনের বৈঠকে উঠে এসেছিল বলে জানান ভারতীয় (India) বিদেশ সচিব।
আরো পড়ুন : জামাকাপড় থেকে থালাবাটি! রাষ্ট্রপতি ভবনে লুটপাট জনতার, শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ হওয়ার পথে এই দেশ
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় নিত্য অশান্তির খবর উঠে আসছে প্রায় দিনই। দিন দুয়েক আগেই সেখানে উগ্রপন্থীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন ইসকনের আরো একটি মন্দির। আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে রাধাকৃষ্ণের বিগ্রহ। অনেকে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে চলে আসছেন এপারে। এমতাবস্থায় এই বৈঠকে ফলাফল কী হয় সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সকলে।