বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানির কোম্পানি আদানি পাওয়ারের জন্য বড় স্বস্তির খবর সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে বাংলাদেশ (Bangladesh) আদানি পাওয়ারকে পুরো ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে বলেছে। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক সঙ্কট ঘনীভূত হওয়ার পর থেকে বকেয়া পরিশোধের কারণে আদানি পাওয়ার অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহ করছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার আদানি পাওয়ারকে পুরো ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে বলেছে। এই কারণে, আদানি পাওয়ারের শেয়ারেও শক্তিশালী বৃদ্ধি ঘটেছে। এই শেয়ারটি ১.৩৭ শতাংশ বৃদ্ধির সাথে ৪৯৮.১৫ টাকায় পৌঁছেছে।
কি জানিয়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh):
জানিয়ে রাখি যে, আদানি পাওয়ার বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে ২০১৭ সালে ২৫ বছরের জন্য একটি ব্যবসায়িক সরবরাহ চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। ওই কোম্পানিটি ঝাড়খন্ডের পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করত। উল্লেখ্য যে, আদানি পাওয়ারের ঝাড়খণ্ডে একটি পাওয়ার প্ল্যান্ট রয়েছে। যার ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ২ টি ইউনিট শুধুমাত্র বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।
রয়টার্সের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, আদানি পাওয়ার ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে (Bangladesh) অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহ করছিল। আসলে, বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির সঙ্কট ছিল। যার কারণে বাংলাদেশ আদানি পাওয়ারের বকেয়া পরিশোধ করতে পারছিল না। এই কারণে ওই পাওয়ার প্ল্যান্ট মাত্র ৪২ শতাংশ ক্ষমতায় অপারেট করা হয়েছিল এবং একটি ইউনিট বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ আদানি পাওয়ারকে চুক্তিতে নির্ধারিত বিদ্যুতের অর্ধেক সরবরাহ করতে বলেছিল।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের মধ্যেই….রাখঢাক না রেখে এবার বড় ঘোষণা ইউনূসের, ফের চর্চায় বাংলাদেশ
এদিকে, বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড জানিয়েছে যে, তারা বকেয়া পরিশোধের জন্য আদানি পাওয়ারকে প্রতি মাসে ৮৫ মিলিয়ন ডলার প্রদান করছে এবং এখন এটি কোম্পানিকে অন্য ইউনিট থেকে আবার বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে বলেছে। বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে, বাংলাদেশ (Bangladesh) বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, “বর্তমানে আমরা প্রতি মাসে ৮৫ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছি এবং আরও অর্থ পরিশোধের চেষ্টা চলছে।” তিনি এটাও জানান যে, আদানির সাথে এখন কোনও বড় সমস্যা নেই।
আরও পড়ুন: “গৌতম যা করছে তা ঠিক নয়….”, গম্ভীরের ওপর চটলেন ভারতের এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার, কিন্তু কেন?
তবে, আদানি পাওয়ারের তরফে এখনও এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেন। যদিও, আদানি পাওয়ারের একটি সূত্র জানিয়েছে যে, বাংলাদেশ (Bangladesh) পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড থেকে কোম্পানির কাছে ৯০০ মিলিয়ন ডলার পাওনা ছিল। কিন্তু, করিম তখন বলেছিলেন মাত্র ৬৫০ মিলিয়ন ডলার পাওনা রয়েছে। উল্লেখ্য যে, গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনা সরকারের স্বাক্ষরিত জ্বালানি চুক্তির তদন্তের জন্য বাংলাদেশ সরকার বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেলও নিয়োগ করেছিল।