বাংলাহান্ট ডেস্ক : সোমবার বিধানসভায় তৃণমূল এবং বিজেপি বিধায়কদের হাতাহাতিকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ঘুঁষি মেরে নাক ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। দুই পক্ষের চাপান উতরে চরমে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়।
এদিন গন্ডগোল চলাকালীন বিধানসভাতেই উপস্থিত ছিলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার বিধানসভা ভবনে বলা। শুভেন্দুদা ওখানে বলছিলেন। পরবর্তীতে আমরাও চাইছিলাম যে রামপুরহাটে বিষয়টি আলোচনা হোক। কিন্তু স্পিকার সাহেব কোনও ভাবেই শুনতে চাননি। আমরা ওঁর কাছেই আবেদন জানিয়েছিলাম। অন্য কারও কাছে নয়। কিন্তু আমাদের সামান্যতম বলার সুযোগ টুকুও না দিয়ে হাতে ঘুঁষি মারা হল, ফেলে দেওয়া হল।’
এরপরই বিজেপি অবহেলিত এই দাবী করে বিরোধীদের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, ‘দুটি পায়েই আমার লেগেছে। হাঁটুতে লেগেছে। ঘুঁষি খেলাম। পড়ে গেলাম। বিধানসভায় এ কেমন বর্বরতা? বিধানসভা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের জায়গা। সেখানে প্রতিনিধিরা বলবেনই। সেখানে বিজেপি যে এতখানি অবহেলিত। বিধানসভার মধ্যেও বিজেপি বিধায়করা নিরাপদ নন।বিধানসভায় বিরোধীদের যে কোনও জায়গা নেই সেই প্রমাণ আজকে পাওয়া গেল।’
উল্লেখ্য, সোমবার সকাল থেকেই বিধানসভায় চড়তে থাকে উত্তেজনার পারদ৷ বগটুই গণহত্যা কাণ্ডের প্রতিবাদে বিধানসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপির জনপ্রতিনিধিরা। স্পিকার তাঁদের আটকানোর চেষ্টা করলে রোষের মুখে পড়তে হয় তাঁকেও। এরপরই জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে দিতে বিধানসভা ছেড়ে বেরিয়ে যান বিজেপি বিধায়করা। তারপরই তৃণমূল বিধায়ককের সঙ্গে হাতাহাতি বাঁধে বিজেপি বিধায়কদের। সেই ধস্তাধস্তিতে জামা ছিঁড়ে যায় বিজেপির পারিষদীয় দলনেতা মনোজ টিগ্গার। চশমা ভেঙে যায় এক বিধায়কের। নাক ফেটে রক্তারক্তি বাঁধে চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের। অসিতবাবুর সরাসরি অভিযোগ, বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীই মেরে নাক ফাটিয়ে দিয়েছেন তাঁর। আপাতত এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে আহত তৃণমূল নেতার।