বাংলাহান্ট ডেস্ক : সামনেই পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election)। জোর কদমে চলছে তার প্রস্তুতি। পঞ্চায়েত ভোটকে পাখির চোখ করে তৃণমূল বিভিন্ন অঞ্চলে শুরু করেছে ‘দিদির দূত’ (Didir Doot) কর্মসূচি এবং সেখানে উপস্থিত হচ্ছেন তৃণমূলের (All India Trinamool Congress) ‘দিদির দূত’ বা প্রতিনিধিরা। জনগণের সাথে আলাপ পরিচয় করে জানার চেষ্টা করছেন এলাকার বিভিন্ন সমস্যাবলি এবং সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। কিন্তু এবার দিদির এক দূত যা কাণ্ড করে বসলেন তাতে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা মালদাজুড়ে (Malda)।
ঠিক কী ঘটেছিল? জানা গিয়েছে, স্কুলে ক্লাস চলছে। ছাত্রীরা সকলে মন দিয়ে পড়াশোনা করছে, শিক্ষিকারা তাঁদের সাহায্য করছেন, এর মধ্যেই ক্লাস চলাকালীন অবস্থায় ঢুকে পড়লেন তৃণমূল কর্মীরা। ঘটনাটি ঘটেছে আজ অর্থাৎ শনিবার মালদার ইংরেজবাজার ব্লকের অমৃতিতে মোহনপাড়া নিবেদিতা গার্লস হাইস্কুলে। এই স্কুলে হঠাৎই প্রবেশ করে যান মালদা জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য প্রতিমা সিং ও মালদা জেলাসভাপতি আবদুল রহিম বক্সী এবং অন্যান্য নেতা-কর্মীরা।
স্কুলে ঢুকে প্রথমেই তাঁরা কথা বলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার সাথে। তারপর তাঁরা ছাত্রীদের থেকে জানতে চান সকলে রূপশ্রী এবং কন্যাশ্রীর ভাতা ঠিক মতন পাচ্ছেন কীনা। তৃণমূলের এই ঘটনার সমালোচনা করেছেন অনেকে। কারণ একটি স্কুলে ক্লাস চলাকালীন এইভাবে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা কখনোই প্রচার চালাতে পারেন না, এটি একটি অনৈতিক বিষয়। তৃণমূলের কর্মীদের মধ্যে আবার একজন একটি ছাত্রীকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নামও জিজ্ঞেস করেছেন।
বিরোধীদের তরফে জানানো হয় যে, এইভাবে কাউকে কিছু না বলে হুটহাট করে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করা কোনো সভ্যতা নয়। একান্তই যদি প্রবেশ করতে হয় তাহলে আগে থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষের থেকে অনুমতি নেওয়া উচিৎ। বিজেপি নেতা অম্লান ভাদুড়ী তাঁদের কটাক্ষ করে বলেন যে, তৃণমূল বরাবর এমনই করে আসে। এটিই তাঁদের সংস্কৃতিতে দাঁড়িয়ে গেছে। কোথাও প্রবেশ করতে গেলে সেখানকার অনুমতি পত্র বা নোটিশ দরকার।
তিনি আরও বলেন যে, এতোই যদি তাঁদের ছাত্রীদের অবস্থা জানার ইচ্ছে ছিল, তাহলে এতজন মিলে কেন গেছিলেন, মুষ্টিমেয় কয়েকজন গেলেই হতো। অন্যদিকে যখন একজন শিক্ষিকাকে এই বিষয় বলতে বলা হয়, তিনি রীতিমতো ভয়ে ভয়ে বলেন যে, তিনি জানতেন একটি রাজনৈতিক দল স্কুলে ভিজিট করার কথা ছিল, কিন্তু তাঁরা যে এতজন মিলে আসবেন তাঁরা সেটা বুঝতে পারেননি। প্রসঙ্গত, তৃণমূলের এই আচমকা অনুপ্রবেশের জেরে ছাত্রীরা তাঁদের মিড ডে মিল পর্যন্ত গ্রহণ করতে পারেননি।