বাংলাহান্ট ডেস্ক : গরু পাচার (Cow Smuggling Case) মামলায় সিবিআই আটক করছে বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডলকে। কেষ্টর বর্তমান ঠিকানা কলকাতার নিজাম প্যালেসের গেস্ট হাউস। সিবিআই (CBI)-এর বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে, হেফাজতে থাকাকালীন শুধু মুড়ি খেয়েই থাকছেন অনুব্রত। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা তাঁকে অনুরোধ করেন ভালো কিছু খাবার জন্য। আধিকারিকদের অনুরোধ তিনি ফেলেন নি। অল্প একটু ভাত, ডাল, আলু সেদ্ধ খান অনুব্রত মণ্ডল।
গরু পাচার মামলায় গত বৃহস্পতিবার সকালে বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে সিবিআই আটক করে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal)। শুক্রবার গভীর রাতে নিজাম প্যালেসে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন এমএলএ হস্টেল থেকে তাঁর জন্য খাবার নিয়ে আসার ব্যাবস্থা করা হয়েছে। যদিও সে খাবারে মোটেই রুচি নেই অনুব্রতর। শুধুই শুকনো মুড়ি খাচ্ছেন তিনি। জানা যাচ্ছে, সিবিআই আধিকারিকরা তাঁকে বলেন শুধু মুড়ি খেলে চলবে না। অন্য কিছুও খেতে হবে তাঁকে। বেশ কিছুক্ষণ অনুরোধ করার পর তা মেনে নেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির। তিনি বলেন, তেলমশলা দেওয়া বাইরের খাবার খাবেন না। তাই শুধুমাত্র ভাত, ডাল ও আলু সেদ্ধ খেতে রাজি হন। সেই মতো রান্নাবান্না করেই খেতে দেওয়া হচ্ছে তাঁকে।
উচ্চ রক্তচাপ, মধুমেহ, ফিসচুলার মতো একাধিক শারীরিক সমস্যায় ইতিমধ্যেই জেরবার অনুব্রতর। সারাদিনে প্রায় ২২ রকমের ওষুধ খেতে হয় অনুব্রত। শারীরিক সমস্যার কথা মাথায় রেখেই খাবারদাবারের ক্ষেত্রেও নানা বিধিনিষেধ রয়েছে। সিবিআই হেফাজতে চিকিৎসকদের পরামর্শমতোই খাবারই দেওয়া হচ্ছে অনুব্রতকে। সময়মতো ওষুধও দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে, সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন দু’বার নেবুলাইজার দেওয়া হয় তাঁকে।
সিবিআই হেফাজতে নেওয়ার পরদিনই প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাঁর। শুক্রবার সকালেই কম্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অনুব্রতকে। একাধিক রক্তপরীক্ষাও করা হয় তাঁর। যদিও সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, গুরুতর কোনও অসুস্থতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সিবিআই কবে থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা শুরু করবে তা এখনও জানা যায় নি।