বাংলাহান্ট ডেস্ক : আগামী ২ থেকে ৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন। ভারত (India) ছাড়াও সংগঠনের অন্যান্য সদস্য দেশ থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, মায়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং ভুটানও অংশ নিতে চলেছে এই সম্মেলনে। ভারতের তরফে সরকারিভাবে ইতিমধ্যেই থাইল্যান্ড সরকারকে জানানো হয়েছে, বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান করতে চলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ইউনূসের সঙ্গে কী বৈঠকে বসবেন ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী?
এই বৈঠকে যোগ দিতে থাইল্যান্ড উড়ে যাবেন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসও। বিমসটেক বৈঠকের মাঝে মোদি ও ইউনূসের একান্ত বৈঠক নিয়ে এবার বড় অনুরোধ ঢাকার। ভারত সরকারের কাছে ঢাকার তরফ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে অনুরোধ করা হয়েছে, বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে মোদির সাথে একান্ত বৈঠক করতে ইচ্ছুক ইউনূস।
আরও পড়ুন : তাপমাত্রা নেমেছে ৯ ডিগ্রিতে! লন্ডনে পৌঁছলেন মমতা, কোথায় থাকবেন ৭ দিন?
এবার এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন ভারতের (India) বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। পিটিআই সূত্রে খবর, এস জয়শঙ্কর বিদেশ বিষয়ক সংসদীয় পরামর্শদাতা কমিটির বৈঠকে বলেছেন, বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের (Mohammad Yunus) বৈঠকের বিষয়টি বিবেচনাধীন অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন : বিকেলেই ভাসবে কলকাতা সহ একাধিক জেলা! কোথায় কোথায় ঝড়-শিলাবৃষ্টির সতর্কতা? আবহাওয়ার খবর
একাধিক সূত্র উদ্ধৃত করে প্রকাশিত এই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিদেশ বিষয়ক সংসদীয় কমিটির একাধিক সদস্য জানতে চান, বিষয়টি নিয়ে ভারত সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে। সূত্রের খবর, সদস্যদের প্রশ্নের উত্তরে বিদেশমন্ত্রী জানান, ঢাকার তরফে দাবি করা হচ্ছে সেদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচারের ঘটনা ধর্মীয় কারণে ঘটেনি, সেটি ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, বিদেশ বিষয়ক সংসদীয় কমিটির বৈঠকে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনার প্রেক্ষিতে ভারত সরকারের তরফে বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ রেখে চলা হচ্ছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দিল্লিও। এমনকি ভবিষ্যতেও সরকারের এই মনোভাব সচেষ্ট থাকবে বলেও এদিনের বৈঠকে দাবি করেছেন বিদেশমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, আগামী ২ থেকে ৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিমস্টেক (দ্য বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টোরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে চলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। জয়শঙ্করের কথায়, সার্ক নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ার নেপথ্যে রয়েছে পাকিস্তানের দৃষ্টিভঙ্গি। তাই বিমসটেককে শক্তিশালী করতে চাইছে ভারত (India)।