বাংলা হান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের (Corona Virus) আশঙ্কা দেখে ভারতীয় রেল মন্ত্রালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের সমস্ত ট্রেন ক্যান্সেল করা হবে। রাজস্থান আর পাঞ্জাবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত গোটা রাজ্যে লকডাউন (Lockdown) ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের ৭৫ জেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এই লকডাউন কি? আমরা বিগত কয়েকদিন ধরেই এই ব্যাপারে শুনে আসছি। আম জনতার দৈনন্দিন জীবনে এর কতটা প্রভাব পড়বে? আসুন জেনে নিই লকডাউন সম্বন্ধ্যে কিছু তথ্য।
লকডাউন একটি জরুরী ব্যবস্থা, যেটা সামান্য ভাবে মানুষকে একটি নিশ্চিত এলাকায় থাকার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সামান্য ভাবে এই প্রটোকলের শুরু প্রশাসন দ্বারা করা হয়। এর ঘোষণা জন সাধারণকে বড় দুর্যোগ থেকে বাঁচানোর জন্য করা হয়। ফুল লকডাউনের মানে, মানুষ নিজের ঘর থেকে বের হতেই পারবে না। মেডিকেল এমার্জেন্সি আর খুব দরকারি না হলে কোনমতেই ঘর থেকে বের হওয়া যাবেনা।
লকডাউনে সরকারের সবথেকে বড় উদ্দেশ্য হল, মানুষ যেন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় না যায়, বিশেষ করে সরকার দ্বারা দেওয়া আদেশকে কড়া ভাবে আমল করা। সংক্রমণ আটকানোর জন্য যেই যেই উপায় স্থানীয় প্রশাসন নেবে, সেগুলোতে আমল করা খুবই জরুরী। কোন গুরুতর রোগীকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া অথবা কম গর্ভবতী মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হওয়া যেতে পারে।
দুধ, সবজি, মুদি আর ওষুধের দোকান লকডাউনের আওতার বাইরে থাকে। কিন্তু ওইসব দোকানে অকারণে ভিড় জমালে সমস্যা দকেহা দিতে পারে। রাজ্য সরকার পেট্রোল পাম্প আর এটিএমকে আবশ্যক সেবা গুলোর মধ্যে রেখেছে। সরকার প্রয়োজনে পেট্রোল পাম্প আর এটিএম খোলাতে বন্ধ করতে পারে। এর দায়িত্ব স্থানীয় প্রশাসনের হাতে দেওয়া হয়। যদি পেট্রোল পাম্প আর এটিএমে অযথা ভিড় জমে, তাহলে সেগুলো নিয়ে কড়া নির্দেশিকা জারি করতে পারে প্রশাসন।