বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Recruitment Scam) গত এপ্রিল মাসে সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ইতিমধ্যেই সেই জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) অবধি। সম্প্রতি সেই মামলায় ‘মেটা ডেটা’ খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এটা খুঁজে না পেলে যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা বাছাই সম্ভব নয় বলে জানানো হয়েছে। এরপরেই মাথাচাড়া দিয়েছে বেশ কিছু প্রশ্ন। মেটা ডেটা কী? এটি দিয়ে কী কাজ হয়?
এসএসসি মামলায় মেটা ডেটা খোঁজার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)
রিপোর্ট বলছে, গ্রিক শব্দ ‘মেটা’ ও ‘ডেটা’ থেকে মেটা ডেটা কথাটি এসেছে। ‘মেটা’ শব্দের অর্থ হল পরবর্তী কিংবা বিয়ন্ড। অন্যদিকে ‘ডেটা’র মানে হল তথ্য। এক কথায়, তথ্যের ওপর ভিত্তি করে যে অতিরিক্ত তথ্য তৈরি হয় সেটাকেই মেটা ডেটা (Meta Data) বলা হয়। এটি তথ্যকে বর্ণনা করতে, তার কাঠামো কিংবা প্রাসঙ্গিকতার বিবরণ দিতে এবং তথ্যের সত্যতা ও বিশ্লেষণ করতে সাহায্য করে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, মোবাইল ফোনে কোনও ছবি তোলা হলে সেই ছবির ফাইলে মেটা ডেটা থাকতে পারে। ছবিটি কোথায় তোলা হয়েছে (লোকেশন), কখন তোলা হয়েছে (সময়), ক্যামেরা সেটিংস সহ বেশ কিছু অতিরিক্ত তথ্য থাকতে পারে। সেগুলি ছবির বিষয়বস্তু ব্যাখ্যা করে না, তবে ছবিটি সম্পর্কে বেশ কিছু প্রাসঙ্গিক তথ্য প্রদান করে।
আরও পড়ুনঃ ২৩ ডিসেম্বর…! প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে বড় খবর! জোর শোরগোল রাজ্যে
রিপোর্ট বলছে, মেটা ডেটা সাধারণত তিন ধরণের হয়ে থাকে। যথা- ডেসক্রিপটিভ মেটা ডেটা, স্ট্রাকচারাল মেটা ডেটা এবং অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ মেটা ডেটা। এটি আমাদের রোজনামচার জীবনের নানান ক্ষেত্রে জরুরি ভূমিকা পালন করে। ডিজিটাল ফাইল ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে সাইবার সিকিউরিটি, ইন্টারনেট ও ওয়েবসাইট থেকে শুরু করে ডিজিটাল আর্কাইভ, নানান কাজে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
সম্প্রতি এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে চাকরি বাতিল মামলায় এই মেটা ডেটা খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এই মামলায় যোগ্য অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের বাছাই করার মাপকাঠি হিসেবে যে ওএমআর শিটের কথা বলা হচ্ছে, সেটার সত্যতা নিয়ে বহু প্রশ্ন উঠেছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, কেউ ওএমআর শিটের মিরর ইমেজটাও সংরক্ষণ করেনি। ফলে এক্ষেত্রে একমাত্র ভরসা মেটা ডেটা!
সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশ, এই মামলায় যদি যোগ্য অযোগ্য প্রার্থী বাছাই করা সম্ভব না হয়, তাহলে সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করা হতে পারে। আগামী ৭ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। তার আগে মেটা ডেটা খোঁজার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।